মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার উপস্থিতিতে রাজ্যের ১৯টি আইটিআই’র আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে আজ শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর এবং টাটা টেকনোলজিস লিমিটেডের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ত্রিপুরা ইনস্টিটিউশন ফর ট্রান্সফরমেশনের ওয়ার রুমে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের পক্ষে সচিব কিরণ গিত্যে এবং টাটা টেকনোলজিস লিমিটেডের পক্ষে সভাপতি পবন ভাগেরিয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ এবং টাটা টেকনোলজিস লিমিটেডের প্রতিনিধিগণ।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরার জন্য আজ আনন্দের দিন। রাজ্যের ১৯টি আইটিআই আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে টাটা টেকনোলজিস লিমিটেডের সঙ্গে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে তা রাজ্যের জন্য মাইল ফলক হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে শিল্প কারিগরী শিক্ষার ক্ষেত্রেও এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। এই চুক্তি সম্পাদন হওয়ার ফলে প্রশিক্ষণ সুবিধার আধুনিকীকরণ, উন্নত কোর্স প্রবর্তন এবং আইটিআই থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। টাটা টেকনোলজিস লিমিটেড রাজ্যের আইটিআইগুলিতে প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষার্থীদের টাটার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দেওয়া হবে। এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের শিল্প ও কারিগরি শিক্ষায় আগ্রহ বাড়বে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এই চুক্তির ফলে টাটা টেকনোলজিস লিমিটেড রাজ্যের আইটিআইগুলিকে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সুবিধা যেমন, প্রোডাক্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপন, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, অ্যাডভান্সড মেশিনিং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং সেন্টার, থ্রিডি প্রিন্টারস, রোবোটিক সিমুলেশানস ইত্যাদিতে সজ্জিত করা হবে। বর্তমান পুরোনো পদ্ধতি ব্যবহারের পরিবর্তে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করলে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা উপকৃত হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই চুক্তির ফলে রাজ্যের আইটিআইগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য টাটা টেকনোলজিস লিমিটেড ও রাজ্য সরকার ৫ বছরের জন্য ৮৬ ১৪ অনুপাতে অর্থ বিনিয়োগ করবে।