মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সভাপতিত্বে আজ সচিবালয়ে ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক (TSQAAF) খসড়ার পর্যালোচনার জন্য এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা, এসসিইআরটি’র অধিকর্তা এল ডার্লং, সমগ্র শিক্ষা প্রকল্প এবং এসসিইআরটি’র অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক খসড়ার মূল বিষয়বস্তু সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার সর্বদা গুণগত শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। তাই উন্নত শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি ক্রমাগত পর্যালোচনার মাধ্যমে শিক্ষার সার্বিক স্তর মূল্যায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে ভালো ফলাফল করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার কথাও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ধলাই এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক- এর প্রথম পর্যায়ের পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন নিয়ে সংশ্লষ্টদের একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন, যাতে সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জগুলির সঠিক মূল্যায়ন করা যায়।
বৈঠকে শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক (TSQAAF) খসড়ার বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক-এর মাধ্যমে স্কুল কমপ্লেক্সগুলির শিক্ষা ও পরিকাঠামোগত সমস্যা ও ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং উপযুক্ত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। শীঘ্রই ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্কটি (TSQAAF) রাজ্যে চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে বিশেষ সচিব জানান। বৈঠকে এসসিইআরটি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাগণ তাদের চলমান শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে আলোচনা করেন।