বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৪ই অক্টোবর……খোয়াই থানার অন্তর্গত পূর্ব গণকি গ্রামের তাঁতি পাড়াতে অষ্টমী পূজার দিন গভীর রাতে নিশংসভাবে খুন হল ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ। একদিকে খোয়াই সহ সারা রাজ্যের মানুষ যখন দুর্গোৎসবে মেতে রয়েছেন পুজোর এই দুই তিন দিন অন্যদিকে খোয়াই পূর্ব গনকি গ্রামের তাঁতি পাড়াতে শ্রীধর তাঁতি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অষ্টমী পূজোর দিন রাত্রে মদের আসর বসান বাড়ির মালিক শ্রীধর তাঁতি নিজেই। এই মদের আসরে যোগ দেন আরো তিনজন। তারা হলেন বেনু তাঁতি পিতা সুরেন্দ্র তাঁতি, লাল মোহন তাঁতি পিতা মৃত অর্জুন তাঁতি ও রবীন্দ্র শুক্ল বৈদ্য। এই চারজনে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত মদ পান করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় খুন হওয়া রবীন্দ্র শুক্ল বৈদ্য ৮০, এর পুত্র জানায় শ্রীধর তাঁতি তার বাড়িতে মদের আসর বসান এবং এই মদের আসরে কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে শ্রীধর তাঁতি ও তার দুই সঙ্গী মিলে কাঠের চেলি ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন রবীন্দ্র শুক্ল বৈদ্য কে। এই ঘটনার সময় রবীন্দ্র শুক্ল বৈদ্যের ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন দুর্গাপূজা দেখতে বাড়ির বাইরে ছিলেন। ঘটনার পরবর্তীতে এলাকার একজন রবীন্দ্র শুক্ল বৈদ্য র বাড়িতে খবর যায় এবং যথারীতি পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। পুলিশ এসে মৃত রবীন্দ্র শুক্ল বৈদ্য কে খোয়াই জেলা হাসপাতালে পাঠান ঐদিন রাতেই এবং দুর্বৃত্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা গ্রহণ করেন। মূলত মদের আসর কে কেন্দ্র করেই এই খুন কাণ্ডটি ঘটে। এই তাঁতি পাড়া এলাকাতে অর্থাৎ পূর্ব গনকি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকাতে বেশ কিছু বাড়িতে দেশীয় মদ অবাধে বিক্রি ও খবারের আসর জমে প্রতিরাতে। সাধারণ জনগণের সন্ধ্যার পর এই এলাকা ধরে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মদ বিক্রির বিষয়টি স্থানীয় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মদত রয়েছে বলেও জানা যায়। এই দেশীয় মদের বিক্রি এবং আসরকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি খুন বিগত দিনেও হয়েছে। এই খুন কাণ্ডের জন্ন বর্তমানে গোটা তাতিপাড়া এলাকাটি থমথমে হয়ে রয়েছে। যদিও জানা যায় অভিযুক্ত আসামী শ্রীধর তাঁতি এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয় পুলিশ এই হত্যাকান্ডের জন্য অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে কতটুকু সমর্থক হয়।