দূর্গাপূজার চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে রাজধানী আগরতলায় বেশ কয়েকটি জায়গায় একাধিক পূজা কমিটির বিরুদ্ধেয়ে জুলুমের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা গুলির জেরে উদ্বিগ্ন পশ্চিম জেলা প্রশাসন। শারদ উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিশেষ তৎপর জেলা প্রশাসন তাই পূজা সংক্রান্ত বিষয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন করলেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমার এবং পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার ড কিরণ কুমার কে। জেলাশাসক ডা বিশাল কুমার বলেন, শারদ উৎসব অন্যতম বড় একটি উৎসব। কিন্তু এই উৎসবকে ঘিরে পশ্চিম জেলার বেশ কিছু জায়গা থেকে ক্লাব এবং বিভিন্ন পূজা কমিটির তরফে সাধারণ মানুষদের পূজার চাঁদা নিয়ে জুলুমের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পূজাও চাদর সাধারন মানুষদের পূজার চাঁদার জন্য জুলুম না করেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের জন্য প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যদি কোন ক্লাবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠে তাহলে তাৎক্ষণিক পূজা আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন ধরনা এবং রাস্তা অবরোধের নামে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল কর্মসূচি করছে। এই কর্মসূচির ফলে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কারণ দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে অনেক ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের জিনিসপত্র নিয়ে আসেন। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে অবরোধ সহ আন্দোলন কর্মসূচি করার ফলে মানুষের সাধারণ চলাচল এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বাজারে যেতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে জেলা শাসকের আবেদন রাজনৈতিক দলগুলো যেন তাদের কর্মসূচি করার ক্ষেত্রে বাজার এবং বিড়বার এলাকা এড়িয়ে চলে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পাবেন। প্রয়োজনে তাদের দাবিদাবার বিষয়ে জন্য প্রশাসনের সাথে কথা বলারও আহবান রাখেন তিনি। আবার একাংশের মানুষ সামাজিক মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং করে শারদ উৎসবের মুখে পরিস্থিতি উত্তেজনা পূর্ণ করে তুলতে চাইছে। তাই তাদের প্রতি আহ্বান রাখেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষার জন্য সকলের বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এই ধরনের উস্কানি মূলক আচার-আচরণ থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পশ্চিম জেলার পূজার সংখ্যা বেশি হবে বলে আশা করছেন। পূজাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করা হবে এবং পুলিশ নিরাপত্তাকর্মী এবং ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে শহরে। মানুষ যাতে শান্তি এবং সুন্দর পরিবেশে উৎসব উপভোগ করতে পারেন এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।