তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ–
শিক্ষিকা নাকি রাক্ষসী!
এবার এক শিক্ষিকা রূপি রাক্ষসী কর্তৃক আক্রান্ত পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্র। উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে তেলিয়ামুড়া শহরের স্বনামধন্য বনেদী বিদ্যালয় তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্রাতঃ বিভাগে।
আক্রান্ত ছাত্র সহ তার পরিবারের অভিযোগ মূলে খবরে প্রকাশ,, তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্রাতঃ বিভাগের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র কৃষ্ণেন্দু আচার্যের উপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সচী রানী নাথ বেতাকাঘাত এবং মারধোর করে বলে অভিযোগ। এর কারণ স্বরূপ আক্রান্ত ছাত্র কৃষ্ণেন্দু জানায়,, দিদিমণি যখন ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের মূল ফটকের ভেতর প্রবেশ করার জন্য বলে তখন কৃষ্ণেন্দুর আসতে খানিক বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষিকা রূপী রাক্ষসী দিদিমণি ওই ছাত্রের উপর বেতাকাঘাত ও মারধোর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রাথমিকভাবে কৃষ্ণেন্দু কাউকে না জানালেও বাড়িতে এসে তার মাকে সম্পূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে খুলে বলে। এরপর কৃষ্ণেন্দু’র মা ঝর্না দেবী কি কারনে উনার ছেলে কৃষ্ণেন্দু’কে মারধোর করা হয়েছে তার কারণ জিজ্ঞাসা করতে বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষিকা সচী রাণী নাথ অনেকটাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। বিদ্যালয় চত্বরে কান পাতলেই এই শিক্ষিকা রূপী রাক্ষসীর নামে বিস্তর অভিযোগের পাহাড়। এই দিদিমণি যেদিন থেকে এই বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন এরপর থেকেই উনার মর্জি-মাফিক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন বলে অভিযোগ। প্রায়শই ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বেতাকাঘাত সহ মারধোর করা যেন দিদিমনির একটা শখ।
যাইহোক পরবর্তীতে কৃষ্ণেন্দু’র পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে প্রাথমিক ভাবে বাড়িতেই চিকিৎসা করার পর তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কৃষ্ণেন্দুর
চিকিৎসা করে। এবং গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে তেলিয়ামুড়া থানায় ওই শিক্ষিকার সচী রানী নাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কৃষ্ণেন্দু’র পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে শেষ খবর পর্যন্ত একটা চক্র গোটা ঘটনা’কে ধামাচাপা দিতে ইতিমধ্যেই ময়দানে তৎপর।
এখন দেখার বিষয়, কৃষ্ণেন্দু’কে সঠিক বিচার পাইয়ে দিতে কি ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করে তেলিয়ামুড়া থানার খাকি বাহিনী।