বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৯ই জুলাই….. পাওনা টাকা ১ হাজারের জন্য পহরমুড়া বাজার স্থিত এক ওয়েল্ডিং হাউজের মালিকের হাতে মার খেয়ে এবং অপমান সহ্য করতে না পেরে ১৭ বছরের এক যুবক বিষ পান করে আত্মহত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে খোয়াই মহকুমার সমতল পদ্মবিল এলাকায়। গত শনিবার পহরমুড়া বাজার এলাকার এক ওয়েল্ডিং হাউজের মালিক চন্দন ভৌমিকের দাঁড়া অপমানিত হয়ে হঠাৎই পরিবারের সবার অলক্ষে বিষ পান করে শান্তনু দাস নামে একাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্র। অভিযোগ করেন পরিবারের লোকেরা। পরবর্তীতে সময়ে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে সাথে সাথে নিয়ে যায় খোয়াই জালায় হাসপাতালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বেগতিক দেখে সাথে সাথে আগরতলা জিবি হাসপাতালের রেফার করে দেয় কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না শান্তনুর।দুইদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লওয়ার পর সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয় ।শেষে সোমবার বিকেলে তার নিথর দেহ আসলো খোয়াই সমতল পদ্মবিল এলাকায় তার নিজ বাড়িতে। ছেলের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবারের মা, বাবা, ছোট ভাই সহ আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা। ঘটনার বিবরনে শান্তনুর পরিবারের লোকজন সহ এলাকাবাসী এবং প্রহরমুড়া এলাকার জনগণ জানায় শান্তনুর পরিবার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তাই শান্তনু নাবালক হয়েও লেখা পড়া চলাকালীন সময়েও তার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে একটু সাহায্য করার জন্য প্রহর মুড়া এলাকার ওয়েল্ডিং এর ব্যবসায়ী চন্দন ভৌমিকের দোকানে কাজ করতো এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশও করে সে।এরপর থেকে শান্তনু আর দোকানে যায় না কিন্তু দোকানের মালিক চন্দন ভৌমিক তার কাছে এক হাজার টাকা পেতো হয়তো বা সে ধার নিয়েছিল এরপর গত শনিবার দিন শান্তনু পহর মুড়া বাজারে আসলে চন্দন ভৌমিক তাকে আটককরে মারধর করে এবং তার বাই সাইকেলটি আটক করে। এবং দোকানের মালিক চন্দন ভৌমিক বলে ১০০০ টাকা দেওয়ার জন্য অন্যথায় সে যেন বিষ পান করে আত্মহত্যা করে এবং চন্দন ভৌমিক এও বলে সামনে বিষের দোকান আছে সেখান থেকে বিষ কিনে নিয়ে খেয়ে যেন আত্মহত্যা করে এবং শান্তনুকে হুমকি প্রদান করে যে প্রহর মুড়া এলাকাতে শান্তনু যেন আর না আসে আর যদিও আসে তাকে মারধোর করা হবে। এই অভিযোগগুলো এলাকাবাসী ও তাদের পরিবারের লোকজন ওয়েল্ডিং এর দোকানের মালিক চন্দন ভৌমিকের বিরুদ্ধে করেন। এবার প্রশ্ন হল চন্দন ভৌমিক তার দোকানে কর্মচারী হিসাবে নাবালক ছেলেকে কিভাবে রাখেন কাজ করার জন্য যেটা নাকি ভারতীয় শিশু শ্রমের আইনে পড়ে। এলাকাবাসী এবং তার পরিবারের লোকজন এই মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনার জন্য চন্দন ভৌমিক কে দায়ী করছেন। এখন দেখার বিষয় এই গোটা ঘটনা টি পুলিশ তদন্ত কমে আত্মহত্যার জন্য অনুপ্রাণিত করা এবং নাবালক শান্তনুকে মারধর এর বিষয়ে পুলিশ কি ভূমিকা গ্রহণ করে সেটাই দেখার।অন্যদিকে মঙ্গলবার দুপুরে শান্তনুর পরিবারের লোকেরা ওয়েল্ডিং এর দোকানের মালিক চন্দন ভৌমিকের বিরুদ্ধে খোয়াই থানায় মামলা করে এই কারণে তাকে মারধর করা এবং আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দেওয়ার জন্য।