খোয়াই প্রতিনিধি ৬ই জুলাই…….আইন রক্ষাকারী যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে সাধারণ মানুষত তা আইন কে নিজের হাতে তুলে নেবেই কারণ পুলিশ প্রশাসনের লোকদের থেকেই তারা এসব শিক্ষণীয় জিনিসগুলি আয়ত্ত করে ।তেমনি এক ঘটনা ঘটল খোয়াই তে।পুলিশে কর্মরত এক কনস্টেবল প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে অবৈধ সম্পর্কের জেরে দ্বিতীয় বিয়ে করে।এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে শনিবার খোয়াই মহিলা থানাতে লিখিত আকারে অভিযোগ করেন ঐ পুলিশে কর্মরত কনস্টেবলের প্রথমা স্ত্রী রুপা দেবনাথ। ঘটনাটি চেবরী প্যাকনিছড়া এলাকায়। ঘটনা বিবরনে প্রথম স্ত্রী রূপা দেবনাথ জানায় চেবরী প্যকনিছড়া এলাকার বাসিন্দা, গৌপেন্দ্র দেবনাথ এর ছেলে হরেকৃষ্ণ দেবনাথ ৪৩, ২০০৯ সালে সোনাতলা এলাকায় সামাজিক ভাবে রূপা দেবনাথ সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বর্তমানে তাদের ১৩ বছর একটি মেয়ে সন্তান এবং চার মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিগত পাঁচ ছয় মাস ধরে হরেকৃষ্ণ দেবনাথ এর চালচলন ও কথাবার্তা অসংলগ্ন দেখা যায়। তখন তার স্ত্রী রুপা দেবনাথের এই বিষয়টিকে নিয়ে সন্দেহ জাগে।তাই শুক্রবার পহরমুড়া এলাকায় তার স্বামী সহ তার দ্বিতীয় স্ত্রী পিংকি রানী দেবদাসের বাড়িতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তিনি জানতে পারেন ৬ মাস আগে তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন প্রথমাকে না জানিয়ে। শেষে শুক্রবার খোয়াই মহিলা থানায় প্রথম স্ত্রী রুপা দেবনাথ তার স্বামীর বিরুদ্ধে এবং তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে তার স্বামী কচুছড়া পুলিশ স্টেশনে কর্মরত রয়েছে এবং রুপা দেবনাথ এবং তার ছোট ছোট শিশুদের জন্য প্রশাসনের কাছে তিনি সুষ্ঠু বিচার চান। এবার প্রশ্ন হল সমাজের রক্ষকের দায়িত্ব পুলিশ পালন করে, এখানে একজন বিবাহিত এবং দুই সন্তানের পিতা প্রথম স্ত্রী কে গোপন রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন এই বিষয়টা নিঃসন্দেহে অপরাধমূলক। এখন দেখার বিষয় মহিলা থানার পুলিশ গোটা ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রথম স্ত্রী এবং অবুঝ দুটি সন্তানকে সুষ্ঠু বিচার পাইয়ে দিতে কতটুকু সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করবে এটাই এখন দেখার বিষয়।
পুলিশে কর্মরত এক কনস্টেবল প্রথম স্ত্রী কে রেখে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে খোয়াই মহিলা থানায় মামলা করে।
