আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ফের দুই বাংলাদেশি নাগরিক আটক ।মঙ্গলবার বিকেলে রুটিন চেকাপের সময় আরপিএফ এবং জিআরপি থানার পুলিশ তাদের আটক করে ।এই নিয়ে পরপর তিনদিন আগরতলা রেল স্টেশন থেকে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়ল। বিষয়টি নিয়ে সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।গত বেশ কিছুদিন যাবতই সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিক রাজ্য সফরে আসেন ।কথা বলেন বিএসএফের রাজ্য আধিকারিকদের সাথে ।কিন্তু তারপরও সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফের সক্রিয়তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মানব পাচার বৃদ্ধির ঘটনা। মঙ্গলবার বিকেলেও আগরতলা রেল স্টেশন থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারীর দুই বাংলাদেশি নাগরিক আটক করা হয়েছে। আরপিএফ এবং জিআরপি থানার পুলিশ তাদের আটক করে। রুটিন চেকাপের সময়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে সন্দেহভাজন একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে দেখতে পায় পুলিশ ।তারা দিল্লি গামী ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিল।পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ।তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তারা বাংলাদেশী নাগরিক ।সাথে সাথে আরপিএফ এবং জিআরপি থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ।বুধবার আগরতলা রেলস্টেশনের জিআরপি থানার ওসি তাপস দাস জানান ,ধৃতরা হল নার্গিস আক্তার এবং মেহেদী হাসান ।তাদের উভয়ের বাড়ির বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় ।ধৃতদের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে বুধবার আদালতে সুপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এই নিয়ে পরপর তিনদিন আগরতলা রেলস্টেশন থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী নাগরিক ধরা পড়ল। এই নিয়ে গত আট দিনের মধ্যে ২২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয় ।তাদের সাথে গ্রেফতার করা হয় তিনজন ভারতীয় নাগরিক তথা রাজ্যের বাসিন্দা কে ।এরা মানব পাচারের সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ ।এভাবে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশী নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঘটনায় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন মহলে উদ্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একদিকে যেমন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তেমনি অপরদিকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।