প্রতি বছর ২৫ডিসেম্বর দিনটিকে ভারত জুড়ে সুশাসন দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। সারা দেশের সঙ্গে সোমবার ত্রিপুরাতেও উদযাপিত হলো সুশাসন দিবস। এদিন আগরতলার শ্যামাপ্রাসাদ মার্গের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহার সরকারী বাস ভবন প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, অর্থ দপ্তরের মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়, ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, মুখ্যসচিব জে কে সিনহাসহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হলো ত্রিপুরা ইনস্টিটিউশন ফর ট্রান্সফর্মেশন জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গুড গভর্নেন্স অফিসের। এই অফিস থেকে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম মনিটর করা হবে। সেই সঙ্গে এদিন বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের তিনটি বইয়ের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অতিথিরা।এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতকে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে তোলে ধরার কাজ চলছে। একইভাবে ত্রিপুরা সরকার ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করছে। সারা দেশে বর্তমানে মাত্র চারটি রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু আছে, পঞ্চম রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরায় এই ব্যবস্থা চালু করা হলো। দেশের মধ্যে গুজরাট রাজ্যে প্রথম এই ব্যবস্থা চালু করা করা হয়েছিল। এর ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্লক স্তর পর্যন্ত ভিডিও কলফারেন্স ব্যবস্থায় সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে। আগামী দিনে এই ব্যবস্থাকে গ্রামপঞ্চায়েত স্তরে নিয়ে যাওয়া হবে। এর ফলে প্রশাসনে আরো স্বচ্ছতা ও গতি আসবে বলে জানান তিনি।বলা যায় সরকারী পরিষেবাকে একেবারে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমান পরিষেবা কেন্দ্র হিসেবে কিছু গাড়ি চালু করা হয়েছে, সবুজ পতাকা নেড়ে এগুলির অনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অতিথিরা। এদিন মোট ৬টি গাড়ি চালু করা হয়েছে প্রাথমিক ভাবে। এই গাড়ি গুলিতে কম্পিউটার থেকে শুরু করে ইন্টারনেট যুক্ত সরকারি নানা পরিষেবা রয়েছে। এই গাড়ি গুলি রাজ্য বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষদের সরকারী নানা পরিষেবা সম্পর্কে অবগত করবে ও পরিষেবা প্রদান করবে।