খোয়াই প্রতিনিধি ২৬শে অক্টোবর….বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গোৎসব।তবে এই বছর কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই খোয়াই মহকুমা এলাকাতে শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পূর্ণ হয়েছে দুর্গোৎসবের আয়োজন। বরাবরই প্রতিবছর খোয়াই শহরের পূজা ও খোয়াই রামচন্দ্র ঘাট স্থিত টি এস আর ক্যাম্পের পূজা গুলি খোয়াইয়ের দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে রাখত এবং তাতে করে দর্শনার্থীদের ভিড় পরিলক্ষিত হত । টি এস আর ক্যাম্প এবং খোয়াই শহরের বিভিন্ন বনেদী ক্লাব গুলির ভিড় সামলাতে পুলিশ প্রশাসনের অনেকটাই ব্যাগ পেতে হয়। এ বছরের চিত্রটা ছিল ঠিক অন্যরকম খোয়াই শহরের দুই একটি বনেদি ক্লাব ছাড়া অধিকাংশ দর্শনার্থীরা ভির জমায় খোয়াই শহরের লাগুয়া এলাকা উত্তর রামচন্দ্র ঘাট এবং চেবরী এলাকাতে। চেবরি সূর্য তরুণ ক্লাব ও উত্তর রামচন্দ্র ঘাট ও লালটিলা স্কুলের সার্বজনীন দুর্গোৎসব খোয়াই এর অধিকাংশ দর্শনার্থীদের টানতে পেরেছে। এই ভিড় সামলাতে পুলিশ প্রশাসন অনেকটাই সক্রিয় ছিল।শুধু তাই না পুজোর দিনগুলি যাতে সুন্দরভাবে কাটেতার জন্য খোয়াই মহকুমাকে নিরাপত্তার বলে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া খোয়াই শহরকে সি সি টিভির আওতায় ও এনেছিলেন খোয়াই পুলিশ প্রশাসন। যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য। খোয়াই শহরের বনেদি ক্লাব ভারত কল্যাণ সংঘ এবছর বেশি সংখ্যক দর্শনার্থীদের তাদের প্যান্ডেলে নিতে পেরেছেন, কারন ভারত কল্যাণ সংঘ এবছর মানব দুর্গার আয়োজন করেছিলেন তাই। তাছাড়াও খোয়াই তাঁত চৌহমুনি স্থিত জনকল্যাণ সংঘ ও মানব দূর্গার আয়োজন করেছিলেন। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত সুভাষ পার্ক কালীবাড়ি এভার গ্রিন ক্লাবে দর্শণীতিদের ভিড় অনেকটাই লক্ষ্য করা গেছে।তাছাড়া এবছর বিদ্যুৎ পরিষেবা সুন্দর ভাবে প্রদান করেছেন। গত বছর বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক ছিলনা দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে সেই তুলনায় এ বছরের বিদ্যুৎ পরিষেবা ছিল একেবারে স্বাভাবিক এর জন্য অবশ্য খোয়াইয়ের দর্শনার্থীরা সাধুবাদ জ্ঞাপন করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরকে।এছাড়া ভগ্ন রাস্তা নিয়ে বিভিন্ন প্যান্ডেলের কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল পূর্ত দপ্তর ও খোয়াই পুর পরিষদের যৌথ ব্যবস্থাপনাতে দ্রুততার সঙ্গে সাময়িক মেরামত করে দেওয়া হয়েছে যাতে দর্শনার্থীদের পূজা পরিক্রমা করার ক্ষেত্রে সেই রকম কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। পূজার এই কয়টা দিন বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। গতকাল খোয়াই এর বেশ কিছু মন্দির ছোট ছোট ও সংস্থার প্রতিমা বিসর্জন করা হয় বাকি গুলি বুধবারার প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানা যায়। মঙ্গলবার রাতে খোয়াইয়ের দশমি ঘাটে, প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থাপনা গিয়ে দেখতে সাংবাদিকদের সাথে দেখা হয় খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মার, দশমি ঘাট এলাকার কাউন্সিলর পূজা দাস, খোয়াই এর বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রণব বিশ্বাস মহোদয়া মহোদয়গণকে । খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান জানায় পূজার প্রাগমুহুর্তে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে এরমধ্যেও খোয়াই পুর এলাকার রাস্তাঘাট দ্রুততার সঙ্গে মেরামত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন খোয়াই পুর পরিষদ তাছাড়া দশমী ঘাট এলাকার রাস্তা অনেকটাই খারাপ ছিল তাই খুব দ্রুততার সঙ্গে এই রাস্তাটি মেরামত করা হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনের যে স্থান সেটাও মেরামত ও প্রতিমা নিরঞ্জনের স্থানে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় এলাকার কাউন্সিলর পূজা দাস ও চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন তাছাড়া খোয়াই পুর পরিষদের উদ্যোগে খোয়াই দশমি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনে আসা প্রত্যেক দর্শনার্থীদের জন্য একটু মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা ও করেছেন । দশমি ঘাট এলাকায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বাহিনীর লোক ও উপস্থিত ছিল আপৎকালীন কোন সমস্যা হলে সমাধানের জন্য। এছাড়া খোয়াই পুর পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য পুর পরিষদের বিভিন্ন সাফাই কর্মীদের নিয়োগ করা হয় যাতে করে কোন ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে পাশাপাশি সেখানে পুলিশ প্রশাসনও মজুদ রয়েছে।সব মিলিয়ে খোয়াই মহকুমা এলাকার শারদীয় দুর্গোৎসবের কয়েকটা দিন সুন্দরভাবে কেটেছে, খোয়াই এর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন দপ্তর,পুর পরিষদ, সহ সকল অংশের মানুষকে শারদীয় দুর্গোৎসবের দিনগুলি সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য সাধুবাদ জ্ঞাপন করেছেন।