প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শারদীয়া দুর্গাপূজা এখন দৌড়গোড়ায়। মাঝে একদিন বাদেই মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যাবে দেবীর বোধন। যদিও ইতিমধ্যেই উৎসবের দামামা বেজে গেছে গোটা রাজ্যে। শারদীয় উৎসবের অন্যতম একটি অঙ্গ হলো বিজয়া দশমী। আর এই বিজয়া দশমীতে প্রত্যেকের বাড়িতেই থাকে এলাহি রকমারি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। বাঙালিরা এমনিতেই খাদ্য রসিক। তাই খাবার পাতে চাই মাছ। মৎস্য প্রেমি রাজ্যের খাদ্য রসিক বাঙ্গালীদের হাতে খানিকটা সস্তায় বিজয়া দশমীর দিন মাছ তুলে দিতে এবারও বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তর। ২৪ শে অক্টোবর রাজ্যের ২৫ টি জায়গাতে ন্যায্য মূল্যে মাছ বিক্রির জন্য খোলা হবে বিশেষ মৎস্য কাউন্টার। সকাল ৯ টার পর এই কাউন্টার গুলি থেকে সাধারণ ক্রেতারা খানিকটা কম দামে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করতে পারবেন। এর মধ্যে থাকবে রুই, কাতল, সিলভার, মৃগেল সহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাছের ওজনের উপর ভিত্তি করে সরকারিভাবে দাম ধার্য করা হয়েছে। বুধবার মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকদের পাশে রেখে একথা জানান মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস। তিনি আরো জানান আগরতলা মহারাজগঞ্জ বাজারের মৎস্য কাউন্টারে জামাইষষ্ঠীর দিনের মতো বিজয়া দশমীতেও ক্রেতারা ক্রয় করতে পারবেন ইলিশ মাছ। মূলত খানিকটা সস্তায় বিজয়া দশমীতে খাদ্য রসিক রাজ্যের বাঙ্গালীদের হাতে মাছ পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।