বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এশিয়া মহাদেশের তিন নিকটতম বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ও শান্তিপ্রিয় প্রতিবেশী। পরিবেশগত কারণে সাহিত্য-সংস্কৃতির মিল আছে বেশ। বাংলা ভাষার রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও নেপালের কিছু কিছু এলাকায় বাংলা ভাষায় কথা বলেন। বাংলা ভাষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তিন দেশীয় বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সাহিত্য-সংস্কৃতির সৌহার্দ্য অত্র দেশের মানুষের কল্যাণ ও পরস্পর উন্নতি ঘটাতে পারে। শিক্ষার উন্নয়নও ঘটাতে পারে। দেশপ্রেমী নাগরিক গড়ে তুলতে সাংস্কৃতিক বান্ধব পরিবেশের বিকল্প নেই। কূটনীতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ ভ্রমণসহ স্ব-স্ব দেশের উল্লেখযোগ্য স্থানে পর্যটক ভ্রমণ বৃদ্ধি করার দাবি জানান ও একইসাথে তিন দেশের ভিসা নীতি আরো সহজ করে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান। গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর, ২০২৩) বিকেলে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের চেয়ারম্যান লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়ার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন ধর্ম ও পানিসম্পদ মন্ত্রী এম নাজিমউদ্দিন আল আজাদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। ইতিহাস মঞ্চের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. মআআ মুক্তাদিরের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পদাক সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের প্রাক্তন অনারারী কনসাল্ট জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন ধর্ম ও পানিসম্পদ মন্ত্রী এম নাজিমউদ্দিন আল আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সচ্চিদানন্দ রায়, প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা এ টি এম মমতাজুল করিম, ড. সবুজ বড়ুয়া শুভ, চর্চাপদ গবেষক লেখক বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মৃগাংক প্রসাদ বড়ুয়া, ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন, জাপানের রিসি কোসাই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাঞ্চন বড়ুয়া, অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, কবি আলমগীর হোসেন, নাজমুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সংগঠক সজল দাশ, পাঠ আবর্ত পরিচালক লেখক হানিফ মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা কমরেড অনুপম বড়ুয়া পাারু, লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, কবি অরূপ কুমার বড়ুয়া, সাংবাদিক ডা. অধীর বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক নীহারেন্দু বড়ুয়া, শিক্ষাবিদ লায়ন সমীর বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সামসু আকতার, সুমেন বড়ুয়া ভূপেল, পল্টু বড়ুয়া, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন মানিক, মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাপানের অনারারী কনসাল্ট জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল পাহাড়-সমুদ্র-সমতল ভূমি। পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্যময় জায়গা। নেপালের হিমালয়ের চূড়া, ভারতের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী তীর্থ, ভূস্বর্গ কাশ্মির, সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল, বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রের বেলাভূমি এগুলো পৃথিবীর ভ্রমণবিদ ও পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান। সমগ্র বিশ্বব্যাপী নন্দিত এই স্থানের ইতিহাস তুলে ধরে পর্যটক-সম্ভাবনা বাড়িয়ে ধরতে পারলে পৃথিবীতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল আরও গৌরবময় ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। সভার শুরুতে ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া সম্প্রতি ভারত থেকে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্বর্ণপদক লাভ করায় তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনায় উত্তরীয়, মানপত্র, বইপুস্তক ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানানো হয়।