২০২১ সালের ৩রা অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের খেরিতে তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনীর ছেলে আসিস মিশ্র টেনীর গাড়ি র চাপায় ৪ কৃষকসহ মৃত্যু হয়েছিল একজন সাংবাদিকের। এই ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্তির অন্যতম আসিস মিশ্রের জেল হলেও মন্ত্রী অজয় মিশ্র রেহাই পেয়ে যান। সেদিন কৃষকরা গোটা দেশজুড়ে দাবি তুলেন অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করার। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের এই দাবি মানা হয়নি। তাই সেদিনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কৃষক হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনীর অপসারণ এবং শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার গোটা দেশ জুড়ে কালা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সংযুক্ত কৃষাণ সভা এবং কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের যৌথ মঞ্চ। সর্বভারতীয় এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রাজ্যেও সর্বত্র বামপন্থী শ্রমিক কৃষকরা মিছিল, সভা, ডেপুটেশন সহ কুশপুত্তুলিকা দাহ করেন। রাজধানী আগরতলাতেও সংঘটিত হয় এই কর্মসূচি। এদিন বিকেলে মেলার মাঠ স্থিত সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কার্যালয় থেকে এক মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে মিলিত হয়। সেখানে আয়োজিত সভার শেষে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের কুশপুত্তুলিকা পুড়িয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিক কৃষকরা। এই কর্মসূচি নেতৃত্ব দেন সারা ভারত কৃষক সবার রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের সমস্ত ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন এবং তার উপর হামলার প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে মঙ্গলবার কালা দিবসে ডাক দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দানবীয় ইউ এ পি এ জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী কন্ঠকে দমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের সময় নানা ধরনের সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কৃষকদের যা এর কোন প্রত্যাহার করা হয়নি। কৃষকদের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে নরেন্দ্র মোদী বাধ্য হয়েছে বিল প্রত্যাহার করতে। কিন্তু একটি বিল প্রত্যাহার করা হলেও কৃষকদের আরো অন্যান্য দাবি আজও পূরণ করা হয়নি। দাবি গুলি আদায়ের লক্ষ্যে কৃষক শ্রমিকদের এই আন্দোলন আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।