রাত পোহালেই দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার পূজা। দেব শিল্পীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে চলছে এখন ব্যাপক তৎপরতা। প্রতিবছর ইংরেজি ক্যালেন্ডারের পাতায় উল্লেখিত ১৭ সেপ্টেম্বর দিনটিতেই অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শেষ দিন মূলত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে দেব শিল্পীর পূজা। এবছর মলমাস হওয়ায় একদিন পিছিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার পূজিত হবেন দেবশিল্পী। গোটা দেশ এবং রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বেসরকারি কলকারখানায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, সিন্ডিকেটে, যানবাহন মালিক ও অনেকের বাড়িতেই এদিন পূজিত হবেন দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা। আর এই পূজাকে ঘিরে আগরতলা সহ রাজ্যের প্রায় সব কটি বাজার যেন এখন সরগরম। প্রতিমা থেকে শুরু করে ফলমূল সহ অন্যান্য পূজার সরঞ্জাম নিয়ে ইতিমধ্যেই হাজির ছোট মাঝারি ব্যবসায়ীরা। পুজোর বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে উদ্যোক্তারাও হাজির হচ্ছেন বাজারে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমজমাট এখন সবকটি বাজার। রবিবার আগরতলা শহরের প্রায় সবকয়টি বাজারেই দেখা গেল একই চিত্র। বাজারে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা সাজিয়ে বসে আছে খদ্দেরের অপেক্ষায়। তেমনি ফল ব্যবসায়ী সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও পসরা নিয়ে হাজির। কিন্তু পূজার আয়োজন করতে গিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের। প্রতিমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলমূলের দাম অন্যান্য দিনের তুলনায় যেন অনেকটা বেশি। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে দেব শিল্পীর পুজোয় ক্রেতা সাধারণের হাত পুড়ছে। কিন্তু এরপরেও দেব শিল্পীকে সন্তুষ্ট করতে কোন কিছুতেই খামতি রাখতে চাইছেন না বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণ। দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা আরাধনার ঠিক পরের দিনেই আবার রয়েছে সিদ্ধিদাতা গণেশ পূজা। এবছর রাজ্যে গণেশ পূজার সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়।পরপর দুটো পুজো হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা হতাশ। তবে এই হতাশার মাঝেই শারদীয়া উৎসবের প্রাকলগ্নে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারেও মানুষজন চাইছে দেব শিল্পীর পূজোর আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠুক সোমবার।