খোয়াই প্রতিনিধি ১৪ই আগস্ট….আজ থেকে প্রায় ১০ দিন আগে তিন ভারতীয় নাগরিক চুরা পথে খোয়াই আন্তর্জাতিক সীমান্ত বগা বিল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে চলে যায় পাসপোর্ট ছাড়াই ।শেষে ১০ দিন পর ঘুরে আসার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খোয়াই সীমান্ত প্রহরমুরা এলাকাতে ভারতীয় তিন নাগরিক সহ বাংলাদেশের এক কিশোর ও কিশোরীকে আটক করল বিএসএফ ।ঘটনার বিবরণ দিয়ে খোয়াই থানার পুলিশ জানায় আজ থেকে প্রায় ১০ দিন আগে খোয়াই অজগর টিলা এলাকার বাসিন্দা হেমচন্দ্র নমশূদ্রের দুই কন্যা বড় মেয়ে অঞ্জনা নমঃশূদ্র ৩০,ও ছোট মেয়ে সারথী নমঃ বিশ্বাস ২৬ সহ বড় মেয়ের ১১ বছরের সন্তান প্রিয়ান নমঃশূদ্র কে নিয়ে প্রায় ১০ দিন আগে খোয়াই বগাবিল সীমান্ত এলাকা দিয়ে সন্ধ্যা রাতে চুরা পথে বাংলাদেশের চলে যায় সীমান্তিক কর্মরত অবস্থায় ১৯১ নং বিএসএফ দেরকে চোখে ফাঁকি দিয়ে। ধরা পড়ার পর ভারতীয় নাগরিকরা পুলিশকে জানিয়েছিল দশ দিন আগে ওরা বাংলাদেশ গিয়েছিল এই কারণে বাংলাদেশের তাদের জেঠুর মৃত্যু হয় এবং জেঠুর শ্রাদ্ধের কাজে যোগ দিতে তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল। সেখানে জেঠুর শ্রাদ্ধের কাজ শেষ করে জেঠুর দুই সন্তানকে ভারতে নিয়ে আসে অর্থাৎ খোয়াইতে নিয়ে আসে।এর কারণ জেঠু মারা যাবার আগে তাদের জেঠিমা আগেই মারা গিয়েছিল এরপর জেঠু মারা যায় যার ফলে জেঠুর দুই সন্তান ১৩ বছরের বৃষ্টি নমশূদ্র ও ১১ বছরের জন্টু নমঃশূদ্রকে বাংলাদেশের লালন পালন করার মতন কেউ ছিল না শেষে বাধ্য হয়ে জেঠুর দুই সন্তানকে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খোয়াই সীমান্ত এলাকা পরমুরা দিয়ে ভারতের ভূখণ্ড তথা খোয়াইতে প্রবেশ করে। এইভাবে খোয়াই সীমান্ত দিয়ে চুরা পথে ভারতে প্রবেশের পর কোনভাবে বিএসএফ খবর টি পেয়ে তাদেরকে আটক করে পহরমুড়া এলাকা থেকে এবং রাতেই তাদেরকে খোয়াই হরমুড়া স্থিত ১৫১ নং বিএসএফ ক্যাম্পে পাঁচজনকে আটক করে রাখে সারা রাত।এবং শেষে বুধবার দুপুরে আটক পাঁচজনকে খোয়াই থানার হাতে তুলে দেয়।এবং খোয়াই থানা তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে মামলার নম্বর ৭২/২৩ ধারা গুলি হল ৩ আই পি সি এক্ট ১২(1) (a)পাসপোর্ট এক্টেমামলা নিয়ে তাদেরকে আদালতে তোলা হলে আদালত বাংলাদেশ থেকে আগত বৃষ্টি নমশূদ্র ও তার ভাই জন্টু নমশূদ্রকে আগরতলা নরসিং গড় স্থিত জুবিলিয়ান হোমে পাঠিয়ে দেয়।অন্যদিকে ভারতীয় নাগরিক তথা অজগরটিলা নিবাসী অঞ্জনা নমঃশূদ্র ও উনার ছোট বোন সারথি নমঃ বিশ্বাসকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় এবং অঞ্জনা নমঃশূদ্রের ১১ বছরের মেয়ে প্রিয়া নমঃশূদ্রকে আদালত ছেড়ে দেয়। এখানে মূল বিষয় হল যেখানে সীমান্তে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সর্বদাই ডিউটি রত অবস্থায় রয়েছে সেই জায়গায় সমস্ত খোয়াই সীমান্ত এলাকাটি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা এর মধ্যে কি করে তিন ভারতীয় নাগরিক কাঁটাতার টপকে বাংলাদেশে চলে যায়। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে হয়তো ভারতীয় নাগরিকদের থেকে বিএসএফ টাকা পয়সা লেনদেনের মাধ্যমে সীমান্ত পার করে দেয় অন্যথায় সীমান্তে কোন জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া কাটা ছিল এই রাস্তা দিয়ে ভারতীয় নাগরিকরা পালিয়ে যায় এবং সেই রাস্তা দিয়ে ফিরে আসার পর কোন কারণ বশত ধরা পড়ে বিএসএফের হাতে।এগুলোর মধ্যে যদি কোনটাই সম্ভব না হয় তাহলে ভারতীয় তিন নাগরিক তথা তিনজন মেয়ে কি করে কাঁটাতারের বেড়া এবং সীমান্তরক্ষি বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করল সমস্ত বিষয়টা নিয়ে বিএসএফের উপর আঙ্গুল তুলছে জনগণ এবং সন্দেহের চোখে দেখছে বিএসএফ কে ।এ ধরনের ঘটনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় সীমান্তের জনজাতি এলাকায় বিএসএফ সঠিকভাবে তাদের কর্তব্য পালন যে করে না তারই প্রমাণ ।কারণ ওই সমস্ত জনজাতি এলাকাতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া এলাকাতে বিএসএফ কি ধরনের কর্তব্য পালন করছে তা জনসাধারণের চোখে পড়ে না যার ফলে সীমান্তে বিএসএফ যা খুশি তাই করছে তারে প্রকৃষ্ট উদাহরণ এক কথায় সীমান্তকে খোলা ছেড়ে দিয়ে রেখেছে বিভিন্ন অনুপ্রবেশকারী এবং সন্ত্রাসবাদীদের জন্য বলে মন্তব্য বুদ্ধিজীবী মহলের।