সামনেই শারদীয়া দুর্গোৎসব। ইতিমধ্যেই সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাঙ্গালীদের অন্যতম এই উৎসবকে সামনে রেখে সর্বত্রই শুরু হয়ে গেছে জোরদার প্রস্তুতি। পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবেও উৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে ময়দানে নেমে পরল প্রশাসন। পুজোর শেষে প্রতিমা নিরঞ্জন উৎসবের অন্যতম একটি প্রক্রিয়া।খোদ আগরতলা শহরেই দিন দিন বাড়ছে পুজোর সংখ্যা।ফলে পুজো শেষে প্রতিমা ভাসানে বিভিন্ন ঘাটগুলিতে বাড়ছে চাপ।রাজধানী আগরতলার অধিকাংশ প্রতিমা নিরঞ্জন হয় দশমীঘাটে। সেখানে প্রতিবছরই পৌর নিগমের উদ্যোগে চলে বিসর্জনের কাজ। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ইতিমধ্যেই আগরতলা পৌর নিগম ও স্মার্ট সিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে দশমিঘাট স্থল আধুনিকীকরণ করার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এবছর পূজোর আগেই সমাপ্ত হবে যার কাজ। পাশাপাশি বিভিন্ন শহরতলীতে প্রতিমা ভাসানের ঘাটগুলি উন্নয়নেও নজর দিয়েছে পৌর নিগম।দশমীঘাট ছাড়াও আগরতলা শহরের আরো বেশ কিছু এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। এর মধ্যে অন্যতম একটি এলাকা হল হাওড়া নদী সংলগ্ন গজারিয়া। পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বুধবার পরিদর্শন করলেন গজারিয়া হাওড়া নদীর ভাসান স্থল। স্থানীয় বিধায়িকা মিনারানী সরকার, মেয়র ইন কাউন্সিল বাপি দাস, স্থানীয় কর্পোরেটর অঞ্জনা দাসকে সাথে নিয়ে এদিন মেয়র সাহেব গজারিয়া এলাকায় হাওড়া নদীতে ভাসান স্থল ঘুরে দেখেন। সেখানে শহর দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি প্রতিমা প্রতি বছর নিরঞ্জন করা হয়। উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় সেখানে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পুজো উদ্যোক্তাদের। তাই বারবার দাবি উঠে এই দশমিঘাট এলাকাটি সরকারিভাবে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার। স্থানীয়দের দাবি মেনে এবং কর্পোরেটরের তৎপরতায় এদিন এলাকাটি পরিদর্শন করেন মেয়র সাহেব। মেয়র জায়গাটি পরিদর্শন করে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন, পূজোর আগেই প্রতিমা ভাসানে যেন এবার কোন প্রকার অসুবিধায় পড়তে না হয় সেই ব্যবস্থা করার। খুব শীঘ্রই ভাসানস্থলের জায়গাটির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে হাত দেবে পৌর নিগম।