সোমবার শাসক বিজেপি দলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার জম্পুই জলা ব্লক সংলগ্ন বুকরুই কমিউনিটি হলে ১২ টাকার জলা মন্ডল কমিটির উদ্যোগে কার্যকর্তা সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয় । অভিযোগ সোমবার কার্যকর্তা সম্মেলনে যাতে বিজেপি দলের কেউ না আসতে পারে তার জন্য তিপ্রা মথা দলের অনেক কর্মী সমর্থক টাকার জলা এবং জম্পুই জলা সড়কে বেরিগেট করে রেখেছিল। এরপরেও কিছু কিছু কর্মী সমর্থক সমস্ত ভয় ভীতি উপেক্ষা করে বুকরুই কমিউনিটি হলে প্রবেশ করে। যথারীতি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভারতীয় জনতা পার্টি দলের রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এবং সিপাহীজলা জেলা উত্তর অংশের সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক সহ নেতৃত্বরা বুকরুই কমিউনিটি হলে প্রবেশ করে এবং প্রদীপ প্রজ্জলন করে কার্যকর্তা সম্মেলন শুরু করে। কার্যকর্তা সম্মেলনে রাজীব ভট্টাচার্য বলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠনের বৈঠক সবসময় হয়। সোমবার দিন ছিল টাকার জলা মন্ডলের উদ্যোগে কার্যকর্তার সম্মেলন। এই কার্যকর্তার সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো আগামী কিছুদিন পর দেশের লোকসভা নির্বাচন। এই লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা রাজ্যের দুটি আসনে ই ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদেরকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করানো। নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদিকে আবারো ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জয়ী করা। কারণ উনার নেতৃত্বে দেশ এবং রাজ্য উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সমৃদ্ধি হচ্ছে বিশ্ব দরবারে ভারত আজ এক নব দিগন্তের সূচনা করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলোকে গ্রাম থেকে শহর নগর পাহাড় সর্বত্র ছড়িয়ে দিতেই কার্যকর্তাদের নিয়ে বার মন্ডলের উদ্যোগে ছিল এই বৈঠক। নরেন্দ্র মোদিজীর জন্ম দিনে ও থাকবে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি। কিভাবে কর্মসূচি গুলি প্রতিপালন করা হবে টাকার জলা এবং জম্পুই জলায় তা নিয়েই ছিল কার্যকর্তাদের বৈঠক।জানা যায় বৈঠক শেষ হওয়ার পর যখন বিজেপি দলের কার্যকর্তারা বুকরুই কমিউনিটি হলঘর থেকে বের হচ্ছিলেন তখন মথা দলের কর্মী সমর্থকরা বেশ কিছু কার্যকর্তাকে দৌড়াতে দৌড়াতে একেবারে টাকার জলা হরিয়াপাড়া পর্যন্ত নিয়ে যান। বেশ কিছু কার্যকর্তাকে প্রচন্ডভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিপ্রা মথা দলের কর্মী সমর্থকরা বিজেপি কার্যকরতাদের মারতে থাকলে বিজেপি কার্যকর্তারাও একটা সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। আঘাত পাল্টা আঘাতে উত্তপ্ত হয়ে যায়, টাকার জলা হরিয়া পাড়া। দুই দলের কর্মী সমর্থকদের আঘাতে আম নাগরিকদের দুটি স্কুটি এবং তিনটি বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্রামের মানুষ এই ভয়ানক দৃশ্য দেখে যে যার মত করে পালিয়ে বাঁচতে চেষ্টা করে। উভয় দলের মারপিট আটকাতে গিয়ে আহত হন টাকার জলা থানার ওসি রথীন্দ্র দেববর্মা এবং একজন পুলিশ কনস্টেবল এবং নয় জন বিজেপি কর্মী। তাদের প্রত্যেককে টাকার জলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। নামানো হয় বিশাল পরিমাণ পুলিশ বাহিনী। স্তব্ধ হয়ে যায় টাকার জলা এবং জম্পুই জলা সড়ক। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন টাকার জলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলই। উনি দোষারোপ করেন বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকদের। তাদের কারণেই নাকি এই হামলা-হজ্জতি হয়েছে। অপরদিকে বিজেপি দলের তরফে অভিযোগ হল বিজেপি দলের কার্যকর্তাদের সম্মেলন বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিপ্রা মথা দলের কর্মী সমর্থকরা বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকদের উপর আঘাত হেনেছে। আঘাত পাল্টা আঘাত হামলা এবং পাল্টা হামলা অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত জম্পুইজলা থেকে টাকারজলা হয়ে হরিয়াপাড়া পর্যন্ত। এক কথায় টাকার জলা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি দল কোন কর্মসূচি প্রতিপালন করবে সেটা হয়তো মেনে নিতে পারছে না মথা দলের কর্মী সমর্থকরা। যার কারণেই এই সংঘর্ষ এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।