বিভিন্ন সময়ে আগরতলা বিমানবন্দরে আসা রাজ্যের এবং বহিঃরাজের যাত্রীদের কতিপয় অটোচালকদের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুর্ভাগ্যপূর্ণ। কতিপয় অটোচালকদের দৌরাত্ম্যের কারণে বহিঃরাজ্য থেকে আমাদের রাজ্যে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবেও লাঞ্ছনার শিকারও হয়েছেন! যেটা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এবং এর চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য আজ আগরতলা বিমানবন্দরের পুরনো যাত্রী টার্মিনাল ভবনের কনফারেন্স হলঘরে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এক উচ্চস্তরীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও অটো চালকদের প্রতিনিধিদের আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের সুনাম নষ্ট না করার জন্য আহ্বান জানাই। বৈঠকে অটো চালকদের প্রতিনিধিদের তরফ থেকে উত্থাপিত সমস্যাগুলি সম্পর্কে অবগত হন এবং সেগুলোর সমাধানের জন্য তাদেরকে আশ্বাস প্রদান করেন। আজকের বৈঠকে প্রশাসনের তরফ থেকে আগরতলা বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে শেষবারের মতো বার্তা দেন আর যাই হোক আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের সুনাম কোনোভাবেই ক্ষুন্ন হতে দেওয়া হবে না। নিকট ভবিষ্যতে যদি আবারো কোন ধরনের যাত্রীকে বিমানবন্দরে হেনস্থার অভিযোগ উঠে তাহলে প্রশাসন প্রশাসনের মতো চলবে এবং কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হব বলে জানিয়েছেন। আজকের এই বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন ও পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, পরিবহন দপ্তরের কমিশনার সুব্রত চৌধুরী, আগরতলা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৈলাস চন্দ্র মীণা, ত্রিপুরা পুলিশের আইজি (ক্রাইম ও ইন্টিলিজেন্স) এল.ডার্লং , পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত সি.আই.এস.এফ এর মেজর ধর্মেন্দ্র সাঁই সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।