দীর্ঘদিন ধরেই তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনবিভাগের অন্তর্গত কল্যাণপুর সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল দিয়ে নিরন্তর ভাবে কাঠ পাচার অব্যাহত চলছিল। মাঝে মাঝে বন দপ্তরের সফলতা মিললেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত থাকছে গোটা কল্যাণপুর জুড়ে। শনিবার কল্যাণপুর বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জার সূর্য কুমার দেববর্মার একক কৃতিত্বে ভর করে বন বিভাগ ব্যাপক সফলতা পেল বলা চলে । ঘটনার বিবরণে জানা যায় শনিবার দিন রেঞ্জার সূর্য কুমার দেববর্মা অপর আরেকজনকে নিয়ে কোন একটা কাজে দাওছড়া উত্তর মহারানীপুর সড়ক ধরে নিজের বাইকে করে উত্তর মহারানীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন, কিছুদূর যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান একটা মারুতি ভ্যান গাড়ি বোঝাই করে চুরা পথে কাঠ বিক্রির জন্য দাওছড়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গাড়িটিকে দেখেই সূর্য কুমার বাবু গতিরোধ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু গাড়িটি থামার বদলে গতি বাড়িয়ে দিয়ে চলতে থাকে। সূর্যকুমার বাবু ওনার বাইকে করে গাড়িটির পিছু ধাওয়া করতে থাকেন এবং বাইকে থাকাকালীন অবস্থাতেই কল্যাণপুর পুলিশ এবং বনবিভাগকে খবর পৌঁছে দেন। এরপর গাড়িটি যখন সরঞ্জয় স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় সূর্যকুমার বাবু গাড়িটির সামনে এসে বাইক দার করিয়ে অনেকটা সিনেমার কায়দায় একাই গাড়ি ভর্তি কাঠ সহ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হন। ইত্যবসরে কল্যাণপুর থানার পুলিশ এবং তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনবিভাগের কর্মকর্তারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর বন বিভাগের কর্মীরা কাঠশুদ্ধ গাড়ি এবং গাড়িতে থাকা দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জয়রাম দেববর্মা গাড়ি চালক ও কাঠ পাচার বাণিজ্যের পান্ডা টক্ষিরায় দেববর্মা। তেলিয়ামুড়া বন বিভাগ কর্মীরা নিয়ে যায় গাড়ি সহ দুইজনকেই।
গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বনবিভাগ এবং সূর্য কুমার দেববর্মার ভূমিকায় ব্যাপক প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।।