ড্রোন ক্যামেরার প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন কিভাবে ঘটানো যায় তা নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। ২০২১ – ২২ আর্থিক বছরের মধ্যে রাজ্যের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। কৃষকদের কল্যাণে সরকার সাড়ে চার বছরে কৃষক বন্ধু কেন্দ্র, জ্ঞানার্জন কেন্দ্র এবং ছোট-বড় অনেক গোডাউন নির্মাণ করেছে। কৃষকরা হলেন দেশের অন্নদাতা। কৃষকরা স্বাবলম্বী হলে রাজ্য স্বাবলম্বী হবে, দেশ সমৃদ্ধ হবে। বুধবার দুপুরে খোয়াই মহাকুমার পদ্মবিল ব্লকের অধীনে সমতল পদ্মাবিলে কৃষক বন্ধু কেন্দ্রের শুভ দারোগ্ঘাটন অনুষ্ঠানে এসে এই কথাগুলি বলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়। এই দিন কৃষক বন্ধু কেন্দ্রের শুভ দ্বার উদঘাটন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, পদ্মাবিল ব্লকের বিএ সি চেয়ারম্যান সুরজিৎ দেববর্মা এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী সঞ্জীব দেববর্মা প্রমুখ। এদিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের ভাষণে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, সমতল পদ্মবিল এগ্রি সাব ডিভিশন এলাকার কৃষকদের শুধু হাতে-কলমে কৃষি বিষয়ে আলোচনা করলে হবে না। সরাসরি কথা বলে কিভাবে চাষবাস করতে হবে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেমন সার কতটুকু প্রয়োগ করতে হবে সে বিষয়ে যারা নির্দিষ্ট আধিকারিক রয়েছেন তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এর জন্যই রাজ্যের প্রতিটি কৃষি মহকুমায় এই ধরনের কৃষক বন্ধু কেন্দ্রের নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী চাইছেন ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় যাতে দ্বিগুণ হয়। উনার প্রচেষ্টায় এই রাজ্যের সুস্বাদু ফল কাঁঠাল, কুইন আনারস আজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের ১২ কোটি কৃষক এবং এ রাজ্যের ২ লক্ষ ৪৩ হাজার কৃষক প্রধানমন্ত্রী কৃষি নিধি প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন। সাড়ে চার বছরে কৃষকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার। রাজ্যের কৃষকদের আগের মত গতানুগতিক প্রথায় চাষবাস আর চাইছে না সরকার। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে হবে। উৎপাদন দ্বিগুন করতে হবে খরচ কমিয়ে। পূর্বে কৃষি যন্ত্রাংশ ক্রয়ে ২৮ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হতো এখন ৬২ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের জন্য ১৩৮৬ কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এতদিন প্রতিবছরে কুড়ি হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করেছে সরকার। এবছর ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে সরকার যা ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সবশেষে মন্ত্রী প্রানজিত সিংহ রায় বলেন রাজ্য একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা অপপ্রচার চালাবে, মিথ্যা কথা বলে আপনাদের বিভ্রান্ত করবে। আপনারা মিথ্যাচার থেকে দূরে থাকুন। পূর্বে কি পেয়েছেন আর বর্তমানে কি পেলেন তা আপনাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বিচার করবেন। সরকারের সমস্ত প্রকার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলুন এবং রাজ্য ও দেশকে সমৃদ্ধ করুন। অনুষ্ঠান শেষে চারজন কৃষকের হাতে চারটি পাওয়ার টিলার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী প্রণোজিৎ সিংহ রায় সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা।



