খোয়াই শেউরাতলী গ্রামের বাসিন্দা গেল বছর 26 শে নভেম্বর গভীর রাতে এক পুলিশ অফিসার সহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগ আসাম প্রদীপ দেব রায় কে খোয়াই এর এফ আদালত মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ছিল এমন ২৬ শে নভেম্বর ২০২১ সালে রাত বারোটা নাগাদ খোয়াই শেওড়াতলি গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ দেব রায় ঐদিন রাতে উন্মত্ত অবস্থায় ঘন্টা দেড়েক এর মধ্যে পাঁচজনকে খুন করে। এর মধ্যে প্রথমে প্রদীপ দেবরায় নিজের এক বছরে কন্যা সন্তান অদিতি দেব রায় কে খাটের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে এরপর সাত বছরের মেয়ে মন্দিরা দেবরাই কে কাঠের পিরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে এই দেখে প্রদীপের বড় ভাই অমলেশ দেব রায় প্রদীপকে আটকাতে আসলে উন্মত্ত প্রদীপ দেবর হাতের শাবল নিয়ে বড় ভাই অমলেশ দেবরায় এর গর্দন কেটে দেয় সেরা বাড়ি রক্তে লাল হয়ে যায় তখন দৃশ্য দেখে অমানুষের স্ত্রী পালিয়ে যায় উনাকেও হত্যা করার পরিকল্পনা করে কিন্তু নাগাল পাইনি। এরপর উন্মত্ত প্রদীপ সাবল নিয়ে শেওতালি বাজার থেকে এগিয়ে বীর চৌহমুনি এলাকায় সাবল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তখন রামচন্দ্র ঘাট থেকে একটি অটো আসছিল সেই অটো চালক কৃষ্ণ দাস প্রদীপ কে দেখে অটো থেকে নেমে প্রদীপের সাথে কথা বলতে যায় তখনই প্রদীপ সমহিমায় অটোচালক কৃষ্ণ দাস কে সাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কৃষ্ণ দাসের। এই ঘটনার খবর খোয়াই থানায় দিলে সেই খবর পেয়ে তৎকালীন খোয়াই থানার সাব ইন্সপেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক শওরতলী বাজারে গিয়ে উপস্থিত হয়। তখন দেখতে পায় উন্মত্ত প্রদীপ দেব রায় বস্ত্রহীনভাবে ঘোরাফেরা করছে তা দেখে সত্যজিৎ মল্লিক প্রদীপ দেবরায় এর সাথে কথা বলার জন্য সামনে এগিয়ে যেতেই প্রদীপ সত্যজিৎ মল্লিকে সাবল দিয়ে বুকে আঘাত করে তাতে সত্যজিৎ মল্লিক মাটিতে ছিটকে পড়ে তখন মল্লিক বাবুর মৃত্যু হয়নি দেখে প্রদীপ সাবল দিয়ে পুনরায় সত্যজিৎ মল্লিকের মাথায় আঘাত করলে রঞ্জিত মল্লিকের মাথা দুফালি হয়ে যায় তারপর সত্যজিৎ মল্লিকে জিবিতে নিয়ে গেলে সেখানে ওনার মৃত্যু হয়। এরপর প্রদীপ দেব রায় কে খোয়াই খানার পুলিশ আটক করে আদালতে তোলা হয়। প্রায় এক বছর আদালতে মামলা চলে আদালতে ২৮ জন এই মর্মান্তিক হত্যার প্রত্যক্ষ দর্শীরা সাক্ষ্য প্রদান করেন। খোয়াইয়ের জেলা দায়রা আদালতের বিচারপতি শংকরি দাস প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং ২৮ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার আদালত প্রদীপ দেব রায় কে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন। যদিও এই ঘোষণা তে সাব ইন্সপেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক সহ বাকি চারজনের আত্মার শান্তি হবে কিন্তু সেই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত লোকগুলি আর ফিরে আসবেনা।



