অগ্রহায়নী ধান কেটে ঘরে তোলার সময় মাথায় হাত ধান চাষীদের। ধানের জমিতে ইঁদুরের থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষীরা। ক্ষতিপূরণের দাবি রাখছেন কৃষি দপ্তরের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষীরা। ঘটনা, তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি দপ্তরের অধীন ত্রিশাবাড়ি এলাকায়।
বাংলা বছরের অগ্রায়ন মাসে এ রাজ্যের ধান চাষীরা তাদের ফলানো সোনালী ধান কেটে ঘরে তুলে থাকেন। যাকে, অগ্রহায়নী ধান কাটাও বলে থাকে ধান চাষীরা। কিন্তু, এ বছর অগ্রায়ন মাসে ধানচাষীদের ফলানো ধান কেটে ঘরে তুলতে গিয়ে মাথায় হাত ধান চাষীদের। তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি দপ্তরের অধীনে একটি কৃষি প্রধান এলাকা হল ত্রিশাবাড়ি। ওই এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে ধানের জন্য উর্বর ফসলি জমি। ত্রিশাবাড়িতে বসবাসকারী পরিবারগুলির মধ্যে বেশিরভাগ পরিবারই কৃষির উপর নির্ভর করে সংসারের যাবতীয় ভরণ পোষণ জুটিয়ে আসছে আদিকাল থেকে। এই মরসুমের ওই এলাকার কৃষকরা প্রতি কানিতে ১১ হাজার টাকা ব্যায় করে লাভের আশায় রোপন করেছিলেন জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ধানের বীজ। ক্ষেতের ধান গাছে ধান ফলন হতেই এক ধরনের ইঁদুর জমিতে থাবা বসিয়ে তাণ্ডব চালায়। ধানের জমিতে মাটি খুঁড়ে ধান গাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে বহু কৃষকের জমির ধান। আর এর ফলে যেখানে প্রতি কানিতে কৃষকরা ধান পেত ২০ থেকে ২২ মন সেখানে ইদুরের থাবা বসানোর কারণে চৌদ্দ মনের বেশি ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে এক উপজাতি মহিলা ধান চাষী জানান,,, অগ্রহায়ণ মাসে তারা ধান কেটে ঘরে তোলা শুরু করে দিয়েছে। ইঁদুরের থাবা তাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি কানিতে নিজের পারিশ্রমিক বাদ দিয়ে অন্যান্য শ্রমিকের খরচা এবং জমির পরিচর্যা বাবদ খরচা প্রায় ১১ হাজার টাকা। যদি গত বছরের তুলনায় এক হাজার টাকা খরচা বেশি হলেও উৎপাদিত ধানের পরিমাণ সাত আট মন কম হয়েছে। কারণ ধানের জমিতে ইঁদুর যদি থাবা না বসাতো তবে আশানুরূপ ধান ঘরে তুলতে পারতো। তবে এই মহিলা কৃষক আরো জানান,,, স্থানীয় কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি তার কাছে।
এদিকে ওই মহিলা কৃষকের মত আরো অনেক কৃষক ধানের জমিতে ইঁদুরের থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারই চাইছে সরকারিভাবে যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কৃষকদের সাহায্যের জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।।



