অধুনা বিজ্ঞান যুগের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পাওাই দিচ্ছে না প্রত্যন্ত এলাকার একাংশ জনজাতি অংশের মানুষজনরা । এর জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ঘন ঘন সচেতনতা শিবির করা । এতে জনজাতি অংশের মানব জন বিজ্ঞান যুগের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ঘন ঘন অবহতি হলে তাতে অনেকটা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সুফল পেতে পারে । নতুবা জনজাতি অংশের মানুষজনরা বর্তমানেও ঝাঁ-ফুঁ এবং ওঝার সন্ধানে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতেও দেখা যায়।এমনই এক বাস্তব চিত্র পাওয়া গেল ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর. ডি. ব্লকের অধীনে কাকড়া ছড়া এডিসি ভিলেজে ওই ভিলেজের বাসিন্দা কর্ণ রাম রিয়াং এর ৫ বছর বয়সী শিশু শিশুকন্যা কে নিজ বাড়ির পোষা কুকুরে কামড়ে দেয় ।এই অবস্থায় পিতা কর্ণ রাম রিয়াং তার শিশু কন্যাকে নিয়ে হাসপাতালে না এসে উল্টো ওঝার সন্ধানে দৌড়ঝাঁপ করে । যা বিজ্ঞান যুগের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অবহেলা করে ওঝার মাধ্যমে চিকিৎসা করাচ্ছেন কর্ণ রাম রিয়াং তার শিশু কন্যাকে । তবে অনেকটা বেমানানের মত মনে হলেও বিজ্ঞানের যুগে এটাই বাস্তব।পরে কর্ন রাম রিয়াং কথা প্রসঙ্গে জানান,, আমরা বিজ্ঞান যুগের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখতে পারি না । আমরা ওঝার চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস করি ।কারণ আমাদের পূর্ব পুরুষদের শেখানো পথ অনুসরণ করে চলছে এমনটা। অন্যদিকে ওই ওঝার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন মারণব্যাধী রোগ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে। বিগত দিনের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায় ওঝার তন্ত্র বিদ্যার উপরে নির্ভর করে অকালে মৃত্যুর মুখে ঢলে করেছে অনেকে । এবার দেখার বিষয় স্বাস্থ্য দপ্তর উপজাতি মহল্লা গুলিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতা শিবির করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে । তবে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে দাবি উঠেছে ওই এলাকাগুলিতে যদি স্বাস্থ্যসম্মত কোন ধরনের সচেতনা মূলক শিবির না করা হয় তবে ডেকে আনতে পারে ওই এলাকার মানুষজনেরা মারাত্মক মহামারী।



