খবরে প্রকাশ, তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের চিকিৎসক অর্থাৎ মেলাঘর থানাধীন মাস্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ দাস আগরতলার এক হাসপাতালের সেবিকার সঙ্গে প্রণয় ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ প্রায় ছয় সাত মাস ধরে চলে তাদের গভীর প্রেম। প্রায়শই আগরতলার ওই সেবিকা তেলিয়ামুড়া দশমীঘাট স্থিত ডাক্তার বাবুর ভাড়া বাড়িতে ছুটে আসতো। অভিযোগ, সেই সময় দুইজনের মধ্যে হয় শারীরিক সম্পর্ক। চলতি বছরের মে মাসে চিকিৎসক সুরজিৎ দাস তার দশমী ঘাটের ভাড়া বাড়িতে নির্যাতিতা সেবিকা’কে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে অভিযোগকারীনি সেবিকা’কে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু অভিযোগকারীনি এই প্রস্তাব অস্বীকার করেন। ওই সেবিকা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন,, এছাড়া তিনি শারীরিক সম্পর্ক করবে না। এরপরই ডাক্তার সুরজিৎ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় ওই সেবিকাকে। চিকিৎসকের প্রতিশ্রুতি পেয়ে চিকিৎসক সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় ওই সেবিকা। পরে, পুণরায় ভাড়া বাড়িতে সেবিকার সঙ্গে চিকিৎসক সুরজিৎ শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে ওই সেবিকা বাধা দান করে। অভিযোগ,, সে সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত না হওয়াতে তার উপর শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠ বিচার চেয়ে নির্যাতিতা সেবিকা দ্বারস্থ হয় আগরতলা মহিলা থানায়। এই অভিযোগ আগরতলা মহিলা থানা থেকে তেলিয়ামুড়া থানায় হস্তান্তর করে। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ করে। মামলা নম্বর- ১১৮/২০২২তেলিয়ামুড়া থানা ৩৭৬/৪১৭/৩২৫/৫০৬ ধারা ভারতীয় দন্ডবিধি আইন অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। তদন্ত নেমে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক তথা চিকিৎসক সুরজিৎ দাস’কে গ্ৰেপ্তার করে দশমী ঘাট স্থিত ভাড়া বাড়ি থেকে। পরবর্তীতে পুলিশ খোয়াই আদালতে অভিযুক্ত সুরজিৎ দাস’কে সোপর্দ করে। এদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নিজস্ব গাড়ি নিয়ে সেই নির্যাতিতা সেবিকা ঘন্টার পর ঘন্টা হাসপাতালের সামনে বসে থাকতো এবং অভিযুক্ত সুরজিৎ দাসের সঙ্গে আড্ডা জমাতো বলে খবর। তবে যাই হোক, তেলিয়ামুড়ায় চিকিৎসক কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনায় গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।



