ফের নতুন করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা শুরু হল কাঠালিয়াতে। এতে করে জনমনে যেমন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে,অপরদিকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে জনগণের যথেষ্ট ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে সামনে বিধানসভার নির্বাচন,কাজেই পরিস্থিতি রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের ন্যায় কাঠালিয়া ও আবার অশান্ত হয়ে উঠছে।ঘটনা,সোনামুড়া মহকুমার অন্তর্গত ধনপুর বিধানসভা এলাকার দক্ষিণ মহেশপুর বিকাশ দেবনাথের বাড়িতে।৬ নভেম্বর রাত তখন সাড়ে বারোটা। পরিবারের সবাই ভাত ঘুমে অচেতন। হঠাৎ দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে চারজন। সবাইর নাকে মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। সবার হাতে ধারালো অস্ত্র, ঘরে ঢুকেই প্রথমে মালামাল ভাঙচুর করে,একটি বাইক ছিল তাও ভেঙে ফেলে। সর্বশেষ বাড়ির মালিক বিকাশ দেবনাথ এর ডান হাতের তালুতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।ঘরের আলনাতে তার প্যান্টের পকেটে ছিল মানিব্যাগ।মানি ব্যকটি নিয়ে যায়।২০১০০ টাকা ছিল,ছিল অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিশেষ কাগজপত্র।বিকাশ দেবনাথ জানিয়েছেন ঘরে চারজন দুষ্কৃতী আধা ঘন্টা ছিল।ওরা বেরিয়ে যাওয়ার পর নজরে আসে ১৫ থেকেই বিশ জনের মত। সবার মুখে ছিল কাপড় বাধা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যাত্রাপুর থানায় খবর দেওয়া হয়, খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আছে। রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য পুলিশ বাড়ির মালিক কে নিয়ে যায় কাঠালিয়া হাসপাতালে। যদিও হাতের সেলাই পর রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে আসে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলায় যেতে হবে। বিকাশের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এদিকে,গত শনিবার রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার কাঠালিয়া এসে জলীয় অঞ্চল সম্পাদক কৌশিক চন্দ্রের বাড়িতে যান।ঠিক,২৪ ঘন্টা পরেই আর একটি হামলার শিকার হলো দক্ষিণ মহেশপুরের দলীয় যুব কর্মী বিকাশ দেবনাথ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার কমিটির উদ্যোগে প্রতিবাদ জানিয়ে ভিক্ষুভ মিছিল সংঘটিত করে কাঠালিয়া বাজার এলাকার বুক চিরে যাত্রাপুর থানার সামনে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদে সোচ্চার হয় সিবিআইএম নেতাকর্মী সহ অর্ধ শতাধীক দলীয় কর্মী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় এখন রাজনৈতিক সন্ত্রাসের আবহ বিরাজ করছে।



