শনিবার দুপুরে সাহসী মানুষের প্রতিরোধের চেহারা দেখলো মধ্য গণকী গ্রামের মানুষেরা।প্রতিরোধী মানুষের লাল বাহিনীর সুতীব্র গর্জনেও প্রতিরোধের মুখে পিছু হটলো সন্ত্রাসী বাহিনীর কাপুরুষ দুষ্কৃতীরা।আসন্ন ২০২৩ এর নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীরদর্পে ভয়ভীতি আর সন্ত্রাসের বাতাবরণ চূর্ণ করে গণতন্ত্রের ধর্ষকদের প্রতিরোধের বার্তা ছড়ালো লাল তেরঙ্গার সম্মিলিত বজ্রনির্ঘোষ কন্ঠের আওয়াজ তোলা শ্লোগান সোচ্চার গর্জমান মিছিল থেকে।আর সেই মিছিলে সামিল জনস্রোতের মেজাজ দেখে বীরদর্পে পশ্চাদপ সরণের মতো মানে মানে কেটে পড়ে মিছিল আটকানোর জন্য আসা সন্ত্রাসীরা।দুই ঘন্টায় সাত কিলোমিটার উঁচু উঁচু টীলাভুমির রাস্তা পরিক্রমা করে শত শত লাল সৈনিকের দৃপ্ত মিছিল সংগঠিত করে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিরোধ, বিদ্যুত , পানীয় জল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থার পরিষেবার মানোন্নয়ন ও রাজ্য জুড়ে লাগাতার সন্ত্রাস সৃষ্টি শাসকদলীয় ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবীতে এদিন মিছিলের কর্মসূচী ছিল মধ্য গণকী ও পূর্ব সোনাতলা সহ রাধাচরণনগরে।সি পি আই এম এর মহকুমা কমিটির আহ্বানে খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের বুথে বুথে গত দুই মাস ধরে চলছে মিছিল পদযাত্রার সাহসী কর্মসূচী।বাহান্নটি বুথের সবকটিতেই চলছে এই অবিরাম পথচলা। শনিবার প্রথমে শহর থেকে দেড়শত মোটর বাইকের সাড়া জাগানো রেলী ছুটে চলে রাধাচরণনগর অভিমুখে।আগে থেকেই সেখানে জড়ো ছিলেন পায়ে হাঁটা মিছিলের অগ্রণী পদাতিক বাহিনীর সেনানীরা।বেলা সাড়ে বারোটায় রাধাচরণনগর থেকে বের হয় লাল সাজে সাজোয়া বাহিনীর গর্জমান মিছিল হাতে লাল ঝান্ডা। মাথায় লাল টুপি আর লাল ছাতা
সকাল থেকেই পরিকল্পনা করে মিছিল আটকাতে পথে নামে এলাকার সন্ত্রাসীরা।একটি গাড়িতে বক্স বেঁধে গোটা এলাকায় বেশ কয়েকবার চক্কর কাটে বাইক বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।এলাকায় ভয়ভীতির সন্ত্রাসী আবহ সৃষ্টি করাই ছিল এদের উদ্দেশ্য।যাতে কেউ মিছিলে আসার সাহস না পায়।কয়েকজনকে ভয় দেখিয়ে বাড়ীতে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারলেও একসময় মিছিলে আগুয়ান সংগ্রামী মানুষের সাহস মাখানো জেদী মেজাজ দেখে একসময় পিছু হটতে বাধ্য হয় সন্ত্রাসীরা।যে কোন বাধা প্রতিবন্ধকতার প্রতিরোধে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন লাল ঝান্ডাধারী ব্রিগেডের সৈনিকেরা।প্রতিরোধী মানসিকতার আঁচ পেয়ে একসময় কেটে পড়ে দুষ্কৃতীরা। সি পি আই এম এর রাজ্য কমিটির সদস্য বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, পার্টির জেলা কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য , পার্টিনেতা কানন দত্ত, বিষ্ণুজিৎ দস্তিদার, গৌতম পাল , মনোজ দাস, অজয় দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দকে পুরোভাগে রেখে মিছিল শুরু হয়ে রাধাচরণনগর থেকে পূর্ব সোনাতলার ঝিলমিল পার্ক কমপ্লেক্স, তবলাবাড়ী ইত্যাদি এলাকা পরিক্রমাকালে মোট তিনটি বুথের বিভিন্ন জনপদে আলোড়ন তুলে।



