Friday, December 5, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদহাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাম পাহাড়ের মানুষজনরা ইতিমধ্যে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদে মুখ...

হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাম পাহাড়ের মানুষজনরা ইতিমধ্যে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদে মুখ খুলতে শুরু করে দিয়েছে

যোগ্যদের বঞ্চিত করে যখন দায়িত্বভার অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তবে সাধারণ মানুষ যে কতটুকু ভোগান্তির শিকার হবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনই অভিযোগ মাথা চারা দিয়ে উঠলো তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা গতকাল কিংবা আজকের নয়। সমস্যাটা দীর্ঘ বছর ধরে। তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীন বিভিন্ন গ্রাম পাহাড়ে বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডব। বন্য হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাম পাহাড়ের মানুষজনরা ইতিমধ্যে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদে মুখ খুলতে শুরু করে দিয়েছে।
জানা গেছে,, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক কৃষক পরিবার। তেলিয়ামুড়া মহকুমার বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে একপ্রকার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর কৃষ্ণপুর এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলি। সংবাদে জানা যায়,, তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর অধীন চাকমাঘাট, চামপ্লাই, ডি.এম কলোনি, উত্তর কৃষ্ণপুর ,মধ্য কৃষ্ণপুর, ভূমিহীন কলোনি, কপালি টিলা, মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বন্য দাঁতাল হাতির দল প্রতিনিয়তই তান্ডব চালিয়ে আসছে। নষ্ট করে দিচ্ছে ঘরবাড়ি সহ বিভিন্ন জমির ফসল । আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক পরিবার সহ সাধারণ পরিবার গুলি। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে উত্তর কৃষ্ণপুর এলাকায় দুটি বন্য দাঁতাল হাতি আক্রমণ চালায়। এই বন্য হাতি দুটির আক্রমণে শ্রীদাম শীল সহ আরো কয়েকজনের বাড়িঘর সহ কলা বাগান অবাধে নষ্ট করে দিয়েছে। এদিকে শ্রীদাম শীল অভিযোগ করে জানান, তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর কর্মীদের সঠিক সময়ে খবর দিয়ে থাকলেও তারা ঘন্টাখানেক বিলম্বেই পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার ভোরে ও এমনটাই করেছে বলে অভিযোগ করে জানান তিনি। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বন্য হাতি গুলি ঘরবাড়ি,কলাগাছ সহ বিভিন্ন সব্জি ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি এও অভিযোগ করেন, যদিও ওই এলাকা গুলিকে হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করার জন্য বনদপ্তরের থেকে ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছিল।অভিযোগ সঠিক সময়ে তারাও এখন পৌঁছায় না। ওই এলাকায় বনদপ্তরের অধীন উত্তর কৃষ্ণপুরের অসি বাড়িতে একটি বিট অফিস ও রয়েছে। কিন্তু এই অফিসে বনদপ্তর কোন কর্মীর দেখা মেলে না।
বলতে গেলে একপ্রকার তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে বিট অফিসটি। ফলে বন কর্মীদের হাতের নাগালে পান না সঠিক সময়ে। সংবাদের জানা যায়, বর্তমানে হাতির তাণ্ডব থেকে ওই সকল এলাকা গুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিগত কয়েক মাস পূর্বে তপন সাহা নামে একজন ফরেস্টারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। আর যার ফলে বন্য দাঁতাল হাতির দল অবাধে আরো লোকালয়ে চলে আসছে এবং তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। বলাবাহুল্য, যোগ্য ব্যাক্তিদের পিছন ফেলে আযোগ্যদের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার খেসারত ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ জনগণদের। এখন দেখার বিষয় রাজ্য বন দপ্তর অধিকর্তা হাতির তাণ্ডব থেকে ওই এলাকা গুলিকে রক্ষা করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

17 − 8 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য