১১৯০ কেজির পর এবার ২১০০ কেজির গাঁজা উদ্ধার। তাও আবার একই দিনে ৬ ঘন্টার ঘন্টার ব্যবধানে। ঘটনার তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ।
সংবাদের জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যায় তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াই বাড়ি নাকা চেকিং বসে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ নাকা চেকিং এ বসে। আগেই তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ ছিল WB 39 D 7281 তেল বহনকারী গাড়ি দিয়ে বহিঃ রাজ্যের উদ্দেশ্যে কোটি টাকার উপরে গাঁজা নিয়ে আসছে। তেলিয়ামুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তী নির্দেশক্রমে থানের পুলিশ হাওয়াই বাড়ি নাকা চেকিং কে বসে। সূত্রের খবর অনুসারে কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনী তেল পরিবহনকারী গাড়ি তথা WB 39 D 7281 নম্বরের গাড়িটি থেকে আসতেই ওই এলাকায় আটক করে। যদিও পুলিশের কাছে গোপোর সংবাদ রয়েছে WB 39 D 7281 নম্বরে গাড়ি দিয়ে কোটি টাকার উপরে গাঁজা বহিঃ রাজ্যে পাচার এর খবর। সেই গোপন সংসদে ভিত্তিতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ সেই গাড়িটিকে আটক করে । হাওয়াই বাড়ি থেকে গাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয় তেলিয়ামুড়া থানায়। পরের তেলিয়ামুড়া থানের পুলিশ তেল পরিবহনকারী গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমাণ ২১ ০০ কেজি। সেই সাথে আটক করা হয় গাড়ির চালক ও সহ চালককে যথাক্রমে কারি পাসয়ান ও নিলেশ কুমার । তাদের বাড়ি বিহারে। পুলিশ এক্ষেত্রে মামলা গ্রহণ করে তদন্তে নেমেছে। তেলিয়ামুড়া থানের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তী জানান আগামী দিনও এই ধরনের নেশা বিরোধী অভিযান জারি থাকবে। এদিকে প্রশ্ন একটাই। কোটি কোটি কেজি গাঁজা পুলিশ উদ্ধার করে থাকলেও বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশীর মধ্যে দিয়ে তবে কেন প্রকৃত গাঁজা কারবারিদের আটক করতে ব্যর্থ। তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে রয়েছে। প্রশ্নটা ওয়াকিবহাল মহলের।



