ব্যাঙ্ক গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করায় ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ গ্ৰাহকরা ব্যাঙ্কের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন তুইসিন্দ্রাই বাজার স্থিত ত্রিপুরা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডে সোমবার, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য,,, গত ২৭ শে অক্টোবর তেলিয়ামুড়া থানাধীন তুইসিন্দ্রাই বাজার স্থিত ত্রিপুরা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের গ্রাহক বিষ্ণুপদ রাঙ্খল বুধবার ব্যাঙ্কে ১৫,০০০ টাকা জমা দেওয়ার জন্য আসে। ব্যাঙ্কের কর্মী অজিত কুমার দেববর্মা বিষ্ণুপদ রাঙ্খলের কাছ থেকে ১৫,০০০ টাকা নিয়ে রিসিভ কপি ধরিয়ে দেয়, টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেছে বলে। বিষ্ণু বাবু গত বুধবার রিসিভ কপি নিয়ে বাড়ি চলে গেলেও ব্যাঙ্কের থেকে কোন টাকা জমা দেওয়ার মেসেজ না পেয়ে চিন্তিত হয়ে রাত পোহাতেই সকাল বেলা ব্যাঙ্কে আসেন এবং ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন। পারে জানতে যে টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছিল সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমাই দেওয়া হয়নি কোন এক অজ্ঞাত কারণে।পরে ব্যাঙ্কের কর্মী অজিত কুমার দেববর্মার সাথে সে বিষয়ে কথা হলে অজিত কুমার দেববর্মাকে বাইরে এসে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। যথারীতি ব্যাঙ্ক কর্মীর কথা শুনে বাইরে আসতেই ১৫,০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে ব্যাঙ্ক কর্মী অজিত কুমার দেববর্মা। এর পর পরই শুরু হয় ব্যাঙ্ক চত্বরে গ্ৰাহকদের দৌড়ঝাঁপ। পরবর্তীতে সোমবার ব্যাঙ্ক খোলার পর থেকে জড়ো হতে থাকে ব্যাঙ্ক চত্বরে গ্ৰাহকরা। তারা ব্যাঙ্কে এসে তাদের জমানো অর্থ ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে কিনা সে বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকের কাছে জানতে চায়। গ্রাহকরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট তদন্ত করে জানতে পারে, কারোর ২৫,০০০ কারোর ১৫,০০০ আবার কারোর ১০,০০০ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে থাকলেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব। প্রায় লক্ষ্যাধীক টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ রয়েছে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের পক্ষ থেকে।
গ্রাহকদের অভিযোগ,,,সেই ব্যাপারে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে গ্রাহকদের টাকা একাউন্টে জমা না দিয়ে আত্মাসৎ-এর ঘটনা জানতে চাওয়া হলে ম্যানেজারের ভূমিকা নিয়ে একপ্রকার ক্ষোভ উগড়ে দিল ব্যাঙ্ক গ্রাহকরা। শেষমেষ ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে উত্তেজিত গ্ৰাহকরা সোমবার ব্যাঙ্কের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে তারা তাদের নিজেদের পাওনা টাকা পুনরায় ফিরে পেতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। শেষমেষ পরিস্থিতি এক প্রকার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর যায় তেলিয়ামুড়া থানায়, ছুটে আসে পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে ব্যাঙ্কে গিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মী অজিত কুমার দেববর্মা’কে খুঁজে পাওয়া যায়নি।



