গত ঊনিশ অক্টোবর কুমারঘাটের ঘটনা নিয়ে সাতাশ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপার কান্তা জাংগীরের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করে কুমারঘাট নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। কুমারঘাট নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট নাগরিক শ্যামল কান্তি ভট্টাচার্য, স্বপন বৈসনব, তরুন সাহা, সুশীতল দেবনাথ, আশাপূর্ণা দাস, পান্না দেবের নেতৃত্বে ছয় জনের এক প্রতিনিধি দল ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপার কান্তা জাংগীরের নিকট ডেপুটেশনে মিলিত হয়। ডেপুটেশন শেষে স্বপন বৈসনব সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, গত ঊনিশ অক্টোবর কুমারঘাট শহরে এক নাবালিকাকে ধর্ষন করার সাথে প্রকৃত দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মন্ত্রী পুত্র জড়িত রয়েছে বলে জানান। মন্ত্রী পুত্রকে আড়াল করার জন্য মন্ত্রী নিজেই পুলিশকে চাপ দিচ্ছেন বলে জানান। মন্ত্রীর উচিত ছিলো, উনি নিজে থেকেই মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়ে ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিতে। উল্টো মন্ত্রী নিজেই পুলিশকে দিনের পর দিন চাপ দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের আড়াল করছেন। ঘটনাটি কুমারঘাট থানা এলাকায় সংগঠিত হলেও মামলাটি কুমারঘাট থানায় রেজিস্ট্রি না করে ফটিকরায় থানায় মামলাটি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। স্বপন বাবু, উদ্বেগের সহিত জানান যে, রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার মন্ত্রী সভার একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পুত্র এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার পরও মূখ্যমন্ত্রী কোনো ধরনের ভুমিকা নিচ্ছেন না এবং মূখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে কিছুই বলছেন না। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক দিয়ে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করার জন্য রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবী করেন স্বপন বাবু। ডেপুটেশন প্রদান শেষে কুমারঘাটের বিশিষ্ট নাগরিক তরুন সাহা সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, কুমারঘাটের ঘটনা প্রথম থেকেই গ্যাং রেপ দাবী করা হলেও পুলিশ প্রথম দিকে স্বীকার করে নি এটা গ্যাং রেপ হয়েছে বলে। পুলিশ সুপার আজ স্বীকার করছে যে, হ্যাঁ এটা গ্যাং রেপই হয়েছে। তরুন সাহা আরও বলেন যে, ডেপুটেশনে পুলিশ সুপার কান্তা জাংগীরকে বলা হয়েছে যে, এই ঘটনায় প্রকৃত যারা দোষী কিংবা জড়িত রয়েছে তাদেরকেই যেন পুলিশ গ্রেফতার করে। তরুণ বাবু জানান যে, পুলিশ সুপার আশ্বাস দিয়েছেন যে, ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদেরকেই পুলিশ গ্রেফতার করবে। তাতে যত বড়ই রাগব বোয়াল জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।



