কল্যাণপুর থানাধীন খাস কল্যাণপুর গ্রামে রাতের আঁধারে গণধর্ষণের ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় শেষ সংবাদ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা গেলেও বাকিরা পলাতক বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,,,, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে কল্যাণপুর থানাধীন কোন এক এলাকার জনৈকা নাবালিকা তার কয়েকজন বন্ধুদের সাথে খাস কল্যাণপুর গ্রামে কালী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তখন এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারীরা তাদের গতি রোধ করে টাকা মোবাইল সহ বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরপর থেকেই সংশ্লিষ্ট নাবালিকা মেয়েটি নিখোঁজ ছিল, অনেক খোঁজাখুঁজির পড়েও মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে আজ অর্থাৎ বুধবার ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই মেয়েটি এক প্রকার বিধ্বস্ত অবস্থায় তার টিজ বাড়িতে পৌঁছে যায় বলে জানা গেছে। এরপর পরিবার সূত্রে দাবি করা হয় মেয়েটিকে গতকাল রাতে স্থানীয় কয়েকজন মিলে মুখে চাপা দিয়ে গণধর্ষণ করে। মেয়েটির পরিবারের তরফ থেকে স্থানীয় আদিত্য দাস, তাপস দেবনাথ, এবং রতন দেবনাথের নামে ধর্ষণে যুক্ত থাকার অভিযোগে কল্যাণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই মাঠে নামে কল্যাণপুর পুলিশ থানায় ঘাঁটি করে বসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা। পুলিশের ঝটিকা অভিযানে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ হাজতে অন্যতম অভিযুক্ত তাপস দেবনাথ। আমাদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা, দাবি করেছেন অনতিবিলম্বে গণধর্ষণে অভিযুক্ত অন্যান্য অভিযুক্তদেরও জালে তুলতে সক্ষম হবে পুলিশ।
ধর্ষণের এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে কল্যাণপুর সহ সন্নিহিত এলাকায়। একযোগে থানার পুলিশ আধিকারিক উদ্যম দেববর্মা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা দাবি করছেন,,,,, পুলিশ যথেষ্ট ক্ষিপ্রতার সাথে ঘটনার তদন্ত নেমেছে এবং অনতিবিলম্বে ঘটনার সাথে যুক্তদের জালে তোলা যাবে বলে পুলিশ দাবি করছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কল্যাণপুর থানায় যে মামলা হয়েছে তার নাম্বার,,,,,, ৪৫/২০২২, আই পি সি
৩৪১/৩২৫/৩৫৬/৩৭৬/৩৯২/৩৪ এবং ৪ নং পক্সো আইন।।



