রবিবার বিকেলে খোয়াই এর নতুন টাউনহলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিজেপি দলের পক্ষ থেকে কার্যকর্তা সম্মেলন। এই সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি দলের সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য। এছাড়া অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলার প্রভারি অমিত রক্ষিত, খোয়াই জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, আসাম রাজ্য থেকে আগত সংগঠন মন্ত্রী ফণীন্দ্র নাথশর্মা, পাতাল কন্যা জমাতিয়া, সহ আরো অনেকে। রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য খোয়াই জেলার বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। শেষে তেলিয়ামুড়া থেকে বাইক ও গাড়ি রেলির মাধ্যমে স্বাগত জানিয়ে খোয়াই নতুন টাউনহল নিয়ে আসা হলে টাউনহলে অপেক্ষমান মহিলা মোর্চার কর্মীরা 10 জোড়া ঢাকঢোল ও শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে উষ্ণ অভিনন্দন এর মাধ্যমে বরণ করে নেন। এইদিন কার্যকর্তা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন 2023 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দল 60 টি আসনেই জয়লাভ করবে। এর পেছনের যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে রাজিব ভট্টাচার্য বলেন বিজেপি দলকে যদি রাজ্যের মানুষ ভালো না বাসতো তাহলে আজকের দিনে তেলিয়ামুড়া থেকে খোয়াই আসার পথে যখন বাইক রেলী নিয়ে আসা হচ্ছিল তখন রাস্তার দুই পাশের অসংখ্য মানুষ এই দৃশ্য দেখেছেন পাশাপাশি স্বাগত জানাতে পুষ্পবৃষ্টি ও করেছেন যেটা ছিল উনার নতুন এক অভিজ্ঞতা। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে তিনি লক্ষ্য করেননি। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে বিজেপি দলের প্রতি জনগণের এখনো আস্তা রয়েছে। শুধু তাই না দলের প্রত্যেকটি কার্য করতারাই হচ্ছে দলের প্রাণ। কাজের নিরিখে ভিশন ডকুমেন্টের প্রতিশ্রুতি গুলি একটি একটি করে পুরন করা হচ্ছে। এছাড়া প্রত্যেকটি বুথের ভূত কর্মীরাই হচ্ছে 2023 সালের নির্বাচনের জয়ের কান্ডারী। কারণ প্রত্যেকটি বুথ কর্মীরা যদি নিজেদের বুথকে শক্তভাবে পরিচালনা করে এবং নিশ্চিত করতে হবে এই বুথ জয়ী হবে আর এর নিরিখেই মনের ভিতরে যদি আত্মবিশ্বাস জাগানো যায় প্রত্যেকটি ভোটারদের মনে তাহলে 2023 এ নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি দল 60টি আসনেই জয়লাভ করতে পারবে। শুধু তাই না জনগণের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছেন এবং এর সুফল রাজ্যবাসী সহ অনেক গরিব শ্রেণীর মানুষ পেয়েছে। কন্যাশ্রী ভাতা, উজ্জ্বলা যোজনা। অটল পেনশন যোজনা। অটল জলধারার যোজনা সহ আরো অনেক জোজনা রয়েছে। বিগত আমলে গরিবদের জন্য 700 টাকা ভাতা ছিল সেই ভাতা বাড়িয়ে 2000 টাকা করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে সেই ভাতার টাকাও ভাতা প্রাপকদের একাউন্টে চলে গেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরো তিরিশ হাজার ভাতা দেবে বলে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে। এছাড়া আজকের এই সম্মেলনে দুই 2114 জন জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতির হার দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আগামী দিন ক্ষমতায় বিজেপি সরকার আসছে এবং এই সরকারের প্রতি মানুষের আনুগত্য ও অবিশ্বাস রয়েছে সেই নিরিখেই এই কথা বলা যেতে পারে যে সরকার গঠিত হচ্ছে 2023শে। যে বামফ্রন্ট সরকার গত 25 বছর শাসন করেছে এবং খোয়াই থেকে রাজ্যের দুজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সেই 25 বছরের শাসনের সরকারের দলকে নিজেদের পার্টি অফিস রং করানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দিতে হয়। এর থেকে বোঝা যায় বিগত দিনে ওরা যে কোন ভাল কাজ করেনি। গরিবের সরকার হলেও গরিবকে চুষে খেয়েছে। আর সর্বদা একটা কথাই বলতো কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার অন্যদিকে কেন্দ্রে দোস্তি ত্রিপুরায় আসলে কুস্তি এই লজিকের জন্য 25 বছর রাজ্যের মানুষক বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু বিরোধী দলের নেতারা পাপ্পু গান্ধীর সাথে সমস্ত ভারত পদযাত্রায় বেরিয়েছেন রাজ্যে এসে এরাই আবার বলবেন এ সরকারের আমলে কোন সুশাসন নেই ।তাই 2023 এর নির্বাচনে বামফ্রন্ট যাতে একটি আসনও না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান দলীয় কর্মীদের। এর জন্য রাজ্য সভাপতির পদ পাওয়ার পর প্রতিদিন কোন না কোন জেলা বা মহাকুমায় ঘুরছেন দলীয় কর্মীদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করার জন্য। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে বিরোধী দল থেকে 30 পরিবারে 149 জন ভোটার বিজেপি পতাকাতলে সামিল হন। অনুষ্ঠান মঞ্চে বিজেপি দলের শামিল হওয়া ভোটারদের হাতে দলের পতাকা ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে দলের সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য। সন্ধে সাতটায় অফিসটিলা স্থিত সরকারি ডাকবাংলোতে এক প্রেস মিটের আয়োজন করেন। উক্ত প্রেস মিত একই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য বলেন 2023এর নির্বাচনে বিজেপি দল 60 টি আসনেই জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদী সে নিরিখে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এধরনের সম্মেলন করে60 হয়েছিল 2018 এর নির্বাচনের আগে।



