সোমবার সন্ধ্যা রাতে গাড়ি চাপা পড়ে একটি গরুর দেড় মাসের বাচ্চার মর্মান্তিক মৃত্যু। ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্র শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে বিবেকানন্দ এভিনিউর গোল চক্কর। সেই গোল চক্করের পাদদেশে রাস্তায় একটি গরুর দেড় মাসের বাচ্চা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল তখন সুভাষ পার্কের অন্য দিক থেকে আসা একটি গাড়ি বিবেকানন্দ এভিনিউর গোলচক্কর টিকে বাক নিয়ে ঘুরতে সেই ঘুমন্ত অবস্থায় দেড় মাসের বাচ্চাটির উপর TRO1BTO730 নম্বরের গাড়িটি চলে আসে তাতে রক্তাক্ত অবস্থায় বাচ্চাটি সেই জায়গায় মারা যায়। এই ঘটনা দেখে আশেপাশের লোকজন এবং দোকানদার ভিড় জমায় পাশাপাশি গাড়ির চালক অম্বর দেববর্মা কে গাড়ি শুদ্ধ আটক করে খোয়াই সুভাষ পার্ক পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। গরুর বাচ্চাটির মালিক ছিল খোয়াই লালছড়া নিবাসী গোপাল পালের। তবে অনেক প্রত্যক্ষদর্শীদের মতামত গাড়ির চালকের কোন দোষ ছিলনা বাঁক নিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় গরুর বাচ্চাটির। যে জায়গায় এই জায়গায় গরুর বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকবে এটা অনেকেরই ধারণার বাইরে বলে মন্তব্য করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা আর এই ধরনের ঘটনা যাতে না হয় অথবা গাভী গুলিকে রাস্তা থেকে সরানোর জন্য কোন লোকও থাকে না, না পুর পরিসদের কোন লোক না কোন ট্রাফিক যার ফলে এই ধরনের ঘটনা প্রায় সময়ই ঘটছে। তবু একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল একটি জীবের। এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা মন্তব্য করেন এই ধরনের দুর্ঘটনা আগেও হয়েছে এর কারণ খোয়াই শহরের উপর যত্রতত্র বিচরণ করে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন গবাদিপশুরা এদের মালিক ও রয়েছে। অথচ মালিকরা সকালবেলা উঠেই তাদের গবাদি পশুদের ভৈরবের নামে শহরের ছেড়েদেয়। আর গবাদিপশুরা ছাড়া পেয়ে শহরের উপর বিভিন্ন বাড়িঘরে বাজারের দোকানদারদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে শহরেই খাওয়া-দাওয়া করে শহরের রাস্তায় ঘুমায় প্রায় দিনই। শুধু তাই না খোয়াই বাসি বাজার করতে আসলে ভুলবশত তাদের বাজারের ব্যাগ যদি বাইকে বা বাইসাইকেলে এক মিনিটের জন্য রেখে এদিক ওদিক যায় তাহলে সেই বাজারের ব্যাগের সমস্ত জিনিসপত্র গরুর উদরে চলে যায় তাতে করে নিত্যদিন এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে খোয়াই বাসি। যদিও এর কোন প্রতিকার করতে পারছে না কেউ কারণ গবাদি পশুদের মালিক কে কেউ জানে না। দিন দিন এধরনের যন্ত্রনা বেড়েই চলেছে বেওয়ারিশ গৃহপালিত পশুদের কারণে। যদিও দেখা গেছে পুজোর প্রাকমুহুর্তে খোয়াই পুর পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানানো হয় যে সমস্ত মালিকরা তাদের গৃহপালিত গবাদি পশুদের ছেড়ে দিয়ে লালন পালন করেন তারা যাতে সেই গবাদি পশুদের নিজ নিজ বাড়িতে আটকে রাখেন। কিন্তু দেখা গেছে পুর পরিষদের সেই মাইকিং কে গৃহপালিত পশুদের মালিকরা কর্ণপাত করেনি। বরং দেখা গেছে গৃহপালিত পশু গুলি আগে যেভাবে শহরের উপর বিচরণ করত ঠিক সেইভাবেই বিচরন করছে এককথায় পুর পরিসদের আইনটিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে দিয়েছে মালিকরা। এখানে অনেকেরই মন্তব্য এই বিষয়ে খোয়াই পুর পরিষদের আধিকারিক কে সেই গবাদি পশুদের মালিকদের বিরুদ্ধে সঠিক আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে না হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। শুধু তাই না এই বিষয়ে খোয়াই শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এবং গবাদি পশুদের উৎপাতের হাত থেকে রক্ষা করতে মহকুমা শাসক ও খোয়াই জেলা শাসক কে এই বিষয়ে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি কঠিন পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয় আরো অনেক গবাদি পশুর মৃত্যু হতে পারে। না হলে গবাদি পশুদের মালিকদের উদন্ডতা আরো বেড়ে যাবে যদি তাদের লাগাম টানা না হয়। যদিও এই বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই ধরনের খবর প্রকাশিত হয়েছিল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি গৃহপালিত পশুদের মালিকদের কারণে।



