দশমীতে খালি হয়ে গেল এক অভাগা মায়ের বুক। ঘটনা চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত চেচুড়ী মাঈ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বছর ৩৫ এর যুবক যাদব দত্ত। পেশায় গাড়ি চালক। মঙ্গলবার দিন বিকেল বেলা একই এলাকার এক ব্যক্তি কাঠ গরজি থেকে আনার জন্য চালক হিসাবে নিয়ে যায় যাদব দত্তকে। বোলেরো গাড়ি করে কার্ড নিয়ে আসার সময় উদয়পুর চন্দ্রপুর থেকে একটু দূরে পেরেইত্বা এলাকায় সড়কে বোলেরো গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে যায়। তখন চালক যাদব দত্ত গাড়ি থেকে নেমে বলেরও গাড়ির চাকা লাগানোর সময় দুই যুবক দ্রুতগতিতে বাইক নিয়ে এসে ধাক্কা মারে যাদব দত্তকে। তখন যাদবের সঙ্গে যারা ছিল তারা নাকি পালিয়ে যায়। ঘন্টাখানেক রাস্তায় পড়ে থাকে যাদব দত্ত। পরে দমকল বাহিনীর গাড়ি এসে আহত অবস্থায় যাদব দত্তকে উদয়পুর টেপা নিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয়।খবর পেয়ে যাদবের বাড়ির লোকজন ছুটে যায়, উদোপুর টেপা নিয়া হাসপাতালে। এক ঘন্টা যাবত কোন অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। গভীর রাত হয়ে গিয়েছিল। এরপর কোনরকমে অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি দিয়ে যাদব দত্তকে আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্রামগঞ্জের কাছাকাছি আসতেই প্রাণ চলে যায় যাদব দত্তের। এরপরেও প্রাণ আছে ভেবে নিয়ে যাওয়া হয় আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে। চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বুধবার দিন দুপুর বেলা ময়নাতদন্তের পর যাদব দত্তের মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় চেচুুড়ি মাই নিজ বাড়িতে। যাদবের মা এবং স্ত্রীর বুকফাটা আর্তনাদ ে ভরে ওঠে গ্রামের আকাশ বাতাস। পুরো গ্রামের মানুষ ছুটে আসে যাদব কে শেষবারের জন্য দেখার জন্য। দূর্গা পূজার দশমীতে যখন গোটা গ্রামে মানুষ এলাহি খাবার-দাবারে ব্যস্ত এবং মা মাসিরা সিঁদুর খেলায় ব্যস্ত। সেই জায়গায় যাদবের বাড়িতে বিষাদের সুর। যাদবের মায়ের চিৎকার ে গোটা গ্রাম সুখে ভারী হয়ে ওঠে।তবে যাদবের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পরিবার এবং এলাকাবাসী। গ্রামের মানুষের মুখে মুখে একটি কথা দশমীর দিনে খালি হয়ে গেল এক অভাগা মায়ের বুক।



