শারদ উৎসব শুরুর ঠিক আগে কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অমরকলোনীর শিবির এলাকা স্বপার্ষদ ঘুরে দেখলেন স্থানীয় বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী । এই পর্বে বিধায়ক শ্রী চৌধুরী স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বললেন, বিভিন্ন প্রকারের সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলোর ব্যাপারে জানার চেষ্টা করলেন এবং আগামী দিন শিবির এলাকাকে আরও বেশি করে গুছিয়ে নিতে গেলে কি কি করতে হবে সেই বিষয় নিয়েও সাধারণ মানুষ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করলেন এলাকার বিধায়ক। সকাল সকাল বিধায়কের শিবির এলাকা পরিদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা শিবিরের মধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা দৌড়ঝাপ শুরু হয়। নবীন থেকে প্রবীণ, কিশোর থেকে যুবক সবাই বিধায়ককে দেখতে , বিধায়কের সাথে কথা বলতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। এই পর্বে কয়েকজন সাধারণ গ্রামবাসীরা ছুটে এসে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন। কথা প্রসঙ্গে এলাকাবাসীরা জানালেন একসময় খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতেন তারা, থাকার ঘর ছিল না , এছাড়া শিবিরের মধ্যে ছিল না শৌচালয়ের ব্যবস্থা, যোগাযোগ বা রাস্তাঘাটের সমস্যাও ছিল শিবিরের অন্যতম প্রধান সমস্যা। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিধায়কের প্রতিশ্রুতি মতো গোটা শিবির এলাকার মধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ঘর যেমন বন্টন হয়েছে ঠিক তেমনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঘরে ঘরে শৌচালয় থেকে শুরু করে, পানীয় জল সংযোগ পর্যন্ত হয়েছে পাড়ায় পাড়ায়। এক কথায় বলা চলে পূর্ব কল্যাণপুরের শিবির এলাকার সাধারণ অংশের মানুষরা বেজায় খুশি বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এছাড়াও গোটা রাজ্যে যে প্রবাহমান শান্তি সম্প্রীতির বাতাবরণ বইছে, বাঙালি জনজাতিদের মধ্যে যে মৈত্রীর বন্ধন গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে সেই বন্ধন যেন আরো অটুট থাকে, এই উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সেই ব্যাপারেই আশা প্রত্যাশা করছেন পূর্ব কল্যাণপুর শিবির এলাকার অতি সাধারণ নাগরিকরা।
এদিকে এই পরিদর্শন সম্পর্কে নিজের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী বলেন,,,, বর্তমান সরকারের আমলে এই শিবিরে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। এরপরও আগামী দিনে কিভাবে এই শিবির এলাকাকে ক্রমান্বয়ে আরও উন্নত করা যায় সেই ব্যাপারে গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চালু করার জন্যই এই সফর।।



