ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের বিভিন্ন এলাকা গুলিতে উন্নয়ন হচ্ছে বলে তিপ্রামথা দলের নেতা নেত্রীরা ঢাক-ঢোল পেটালেও বাস্তবে অন্য কথা বলে। উন্নয়নের ছিঁটে-ফোঁটা ও পাওয়া গেল না এলাকাটি পরিদর্শনকালে। এবার পানীয় জলই হউক আর রাস্তাঘাট সর্বক্ষেত্রে রুগ্নদশাগ্ৰস্থ। ঘটনা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের ১১ মহারানী কেন্দ্রের অধীনে মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের আঠারোমুড়া পাহাড়ের ৩৯ মাইল এলাকায়। উক্ত এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল, পানীয় জলের জন্য গোটা এলাকা জুড়ে ত্রাহী ত্রাহী ভাব। সকাল থেকে সন্ধ্যা উপজাতি রমণী সহ শিশুরা জলের বিভিন্ন পাত্র নিয়ে হাঁ করে চাতক পাখির মতো জলের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়। তারা অপেক্ষায় থাকে কখন গাড়ি যোগে ওই এলাকায় জল পৌঁছাবে। কিন্তু কোন কোন সময় গাড়ি যুগে জল পৌঁছলেও অধিকাংশ সময় জলের গাড়ি পৌঁছায় না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তখন তারা কাঁচা কুয়ো কিংবা ছড়ার নোংরা জলের উপর ভরসা করে থাকতে হয় জল চাহিদা মেটানোর জন্য। কিন্তু, স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের বিভিন্ন এলাকা গুলিতে পানীয় জলের সু-ব্যাবস্থা করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা রাজ্য সরকার গ্রহণ করলেও স্ব-শাসিত জেলা প্রশাসন কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেই প্রকল্প গুলিকে বাস্তবায়ন করছে না বলে অভিযোগ। তবে, ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের ক্ষমতায় থাকা বুবাগ্ৰার তিপ্রামথা দল বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গুলি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভোটের রাজনীতি করছে কিনা (!) এমনটাই জিজ্ঞাসা এলাকার মানুষজনদের। কেননা, ওই ৩৯ মাইল এলাকার লোকজনের পানীয় জলের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে থাকলেও এটা মূলত স্ব-শাসিত জেলা প্রশাসন এক প্রকার উদাসীন তাদের সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে। এলাকাবাসীরা চাইছে প্রশাসন তাদের অতিসত্বর জল সমস্যা নিরসন করে দেয়। এখন দেখার বিষয়, কবে নাগাদ পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে উদ্যোগী হয় স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের প্রশাসন।



