হায়রে সমাজব্যবস্থা। যেখানে মানুষের মধ্যে সামাজিক বোধ হারিয়ে গেছে সেখানে মানবিকতা কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বয়স প্রায় ষাটের উর্ধ্বে। বার্ধক্যের ছাপ শারীরিক অঙ্গী ভঙ্গিতে। ছেলে বউ থাকতেও নিজেই রান্না করে খেতে হয় অসহায় লাঞ্ছিত বঞ্চিত বৃদ্ধা মায়ের। ঘটনাটি তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াই বাড়ি এলাকায়। ঐ এলাকার বাসিন্দা তথা তিন সন্তানের জননী অরুন্ধতি পাল। অরুন্ধতি দেবীর তিনটি সন্তান রয়েছে। তার মধ্যে ছোট ছেলে নন্দুলাল পালের দজ্জাল বউয়ের কারণে বাড়ি ছাড়া ওই বৃদ্ধা। অরুন্ধতী দেবী স্বামীর বাড়িতে ছোট ছেলের সাথে এক বাড়িতে থাকেন। নন্দলাল পালের স্ত্রীর তথা রিনা রানী পালের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের ফলে বাড়ির এক কোনার ঘরে থাকেন আর সেখানেই তার রান্না-বান্না। অরুন্ধতী দেবী প্রতিদিনই তার ছেলের বউ রিনা রানী পাল এবং নাতনির মারধোর সহ শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ। পুত্রবধূ অত্যাচারে দুদিন ধরে কিছুই খাইনি অরুন্ধতী দেবী। রবিবার সকালে রান্না করতে গেলে দজ্জাল পুত্রবধূ রিনা রানী প্রথমে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে উনাকে। এই গালিগালাজ এক সময় রূপ নেই বৃদ্ধা অরুন্ধতী দেবীর উপর শারীরিক অত্যাচারের। লাঠি শোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি আক্রমণ চালায় অরুন্ধতী দেবীর উপর। একসময় কোদাল দিয়ে তাকে প্রাণে মারার জন্য এগিয়ে আসে। সেই সময় ছেলে নন্দুলাল সামনে থাকার কারণে মাকে বাঁচাতে পারে। এমনকি তার স্ত্রী রিনা রানী পাল তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ করে জানান অরুন্ধতী দেবী। এই শারীরিক মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অরুন্ধতী দেবী সাহায্যের জন্য ছুটে আসে তেলিয়ামুড়া থানাতে। অরুন্ধতী দেবীকে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ শারীরিক চিকিৎসা করানোর জন্য তাকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসা করানোর পর অরুন্ধতী দেবীকে থানার গাড়িতে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং অরুন্ধতী দেবীর অভিযোগ মূলে পুত্রবধূ রিনা রানী পালকে আটক করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এদিকে পুত্রবধূ কর্তৃক শাশুড়ির উপর শারীরিক মানসিক নির্যাতনের ঘটনার ছড়িয়ে পড়তে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।।



