সংবাদে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক এর অধীন কৃষ্ণপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবক অভিভাবিকা মহলের দাবি ছিল বিদ্যালয়ে দ্বি-তল বিশিষ্ট একটি পাকা বাড়ি নির্মাণের। বর্তমান উন্নয়নমুখী সরকার ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক অভিভাবকদের দাবি অনুসারে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয় বিদ্যালয়ের পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ। তেলিয়ামুড়া পূর্ত দপ্তর থেকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয় স্থানীয় ঠিকেদার শিতু রায়কে। যথারীতি কাজের বরাত পেয়ে নির্মাণ কাজে হাত দেয়। স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ,নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু থেকেই কাজের গুণগতমান বজায় না রেখে চালিয়ে যাচ্ছে। কাজের গুণগতমান বজায় রাখার জন্য বারবার এলাকাবাসীদের তরফ থেকে ঠিকাদারকে ওয়াকিবহাল করা হলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে তাদের কথায় আমল না দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার। অভিযোগ, চিপস এবং বালি না ছালনি করে কাজ করে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। এমনকি কাজের গুণগতমান নিয়ে বহুবার প্রশ্নের সম্মুখীন ঠিকাদার। বিগত কিছুদিন পূর্বে দ্বিতলার ছাদ ঢালাই -এর ক্ষেত্রে নিম্নমানের কাজ করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে পাথরের চিপস বৃষ্টির জলে ধুয়ে যায়। সেই সময়ও অভিভাবক এবং এলাকাবাসীদের তরফ থেকে কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এলাকাবাসীদের অভিমত নিম্নমানের কাজ করার ফলে যে কোন সময় অঘটন ঘটতে পারে। এইদিকে, শুক্রবার সকাল নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন লোক নির্মাণ কাজের গুণগতমান বজায় না রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে নির্মাণ কাজের স্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। নির্মাণ কাজের সাইট ম্যানেজার আসিস বিশ্বাস তাদের নির্দেশ না মানাতে মারধোর শুরু করে এবং সোনার গলার চেইন ছিনিয়ে নেই বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে তেলিয়ামুড়া থানায় কিশোর নম দাস, ইন্দ্রজিৎ সরকার, বিশ্বেশ্বর সরকার সহ বেশ কয়েকজনের নাম ধাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সাইট ম্যানেজার আশীষ বিশ্বাস আরো জানান, বিগত মাসখানেক পূর্বে জলের পাম্প হাউজের নির্মাণ কাজও নিম্নমানের অভিযোগে বন্ধ করে দেয় জোরপূর্বক তারাই।
এইদিকে বুদ্ধিজীবী মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, ঐ সকল কাজগুলি দেখাশোনা করার জন্য পূর্ত দপ্তরের বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার বাবুরা রয়েছেন। কোন কোন কাজগুলি নিম্নমানের হচ্ছে সেই কাজগুলি ইঞ্জিনিয়ার বাবুদের নজরে আসাটা স্বাভাবিক। তবে এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।।



