মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের খোয়াই পুরাতন বাজার এলাকা দিয়ে নিখোঁজ টমটম মালিকের মৃতদেহ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তুলে দিল ভারতের হাতে। মৃত টমটম চালকের ভাই যুবরাজ ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তিনি জানান বাংলাদেশের স্থানীয় মানুষজন উনাকে জানিয়েছেন মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেইসঙ্গে মৃতদেহটিকে একটি কলা গাছে বেঁধে তারপর নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে খোয়াই থানার ওসি উদ্যম দেববর্মা জানান যেহেতু মৃতের পরিবারের পক্ষে নিখোঁজ সংক্রান্ত ডাইরী করা হয়েছিল সেহেতু তারা 157 ধারায় মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত চালাবে। এদিকে মঙ্গলবার বিকেল থেকে স্থানীয় বিএসএফ স্থানীয় পুলিশ এবং মৃতের পরিবারের লোকজন বিকেল থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পুরাতন বাজার এলাকায় জড়ো হয়। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পর বাংলাদেশের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজিবি এবং কাস্টম পুলিশ ও পুলিশের সহায়তায় মরদেহটি খোয়াই নদী নৌকো দিয়ে পার করে তুলে দেয় ভারতীয় বিএসএফ এবং পুলিশের হাতে। এই মৃতদেহ হস্তান্তরে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক, চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাস,বিজিবি বাল্লা 55 নং ব্যাটেলিয়ানের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার তোফাজ্জল হোসেন, কাস্টম পুলিশ কাজী হারুল। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে ছিলেন আশি ব্যাটেলিয়ান বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট বীরেন্দ্র খকা, সাব ইন্সপেক্টর রাজকুমার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজিব সূত্রধর, ওসি উদ্যম দেববর্মা, সাব ইন্সপেক্টর যুগল ত্রিপুরা এবং প্রীতম দত্ত।