জানা যায়, তেলিয়ামুড়া থানাধীন ধর্মনগর এলাকার বাসিন্দা নান্টু দাস স্ত্রী লক্ষী দেব (দাস) এবং দুই সন্তানদের নিয়ে বসবাস।সোমবার দুপুর নাগাদ কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় দুই সন্তানের চোখের সামনে। এক সময় এই বাকবিতণ্ডা রূপ নেয় হাতাহাতি’তে। হাতাহাতি কিছুক্ষণ চলার পর স্ত্রী লক্ষী দেব দাস স্বামীকে দায়ের কোপ বসিয়ে দেয় মাথায় এমনটাই অভিযোগ নান্টু দাসের দুই সন্তানের। এতে স্বামীর মাথায় দিয়ে অজস্র রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে নিজেই স্বামী নান্টু দাস তেলিয়ামুড়া মহকুমার হাসপাতালে আসে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু স্বামীর নান্টু দাসের মাথায় ক্ষতের দাগ বেশি হওয়ার কারণে এবং অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ার কারণে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবি হাসপাতালে প্রেরণ। এদিকে সন্তানদের অভিযোগ তার মায়ের দাঁয়ের কোপে গুরুতর আহত হয়েছে তাদের বাবা।
এদিকে স্ত্রীর অভিযোগ, সাফাই কর্মীর কাজে নিয়োগ হওয়ার পর থেকে তার উপর মানসিক এবং সন্দেহ করতো স্বামী নান্টু দাস। প্রতিদিনই ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকতো তাদের পরিবারে। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আজ তথা সোমবার দুপুরে ওই সমস্ত বিষয় নিয়ে ঝগড়া ঝাটি শুরু হয়। লক্ষ্মী দেব দাসের অভিযোগ, স্বামীকে দা দিয়ে কোপ দেয়নি। তার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করার সময় তার ধাক্কায় পরে মাথায় আঘাত লাগে। যদিও পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ স্ত্রী লক্ষ্মী দেব দাস’কে আটক করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে।