Wednesday, February 5, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদরহস্যজনকভাবে বধুর মৃতদেহ উদ্ধার,খুনের অভিযোগ,পলাতক স্বামী ইয়াকুব

রহস্যজনকভাবে বধুর মৃতদেহ উদ্ধার,খুনের অভিযোগ,পলাতক স্বামী ইয়াকুব

রহস্যজনক ভাবে ফাঁসিতে আত্মহত্যা গৃহবধূর।ঘটনা কলমচৌড়া থানাধীন আশাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুপুরিয়াবান্ধ(৭) নং ওয়ার্ড এলাকায়।ফাঁসিতে আত্মঘাতী গৃহবধূর নাম মাহমুদা আক্তার নেনা(২২)।তার স্বামীর নাম ইয়াকুব আলী(২৬)। আত্মঘাতী গৃহবধূর বাপের বাড়ি আগরতলা বিটার বন এলাকায়।ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক।মৃতার মায়ের অভিযোগ তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।ঘটনার বিবরনে জানা যায় বুধবার দুপুর এক ঘটিকার সময় নেনা তার নিজ স্বামীর ঘরে উড়না দিয়ে সিলিং এর সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।পরে এই ঘটনাটি পাশের বাড়ির একটি ছেলে প্রথমে দেখতে পেয়ে চিৎকার করাতে তার শাশুড়ি এসে তার পুত্রবধূর ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে তা দেখতে পায়।এই ঘটনাটি শাশুড়ি রাহেলা খাতুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করাতে এলাকার লোকজন ছুটে আসে।পরে কলমচৌড়া থানায় খবর দিলে এস আই বিশ্বপতি চক্রবর্তী পুলিশ ও টি এস আর ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে খানিকটা সময়ে দেরী হওয়াতে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তাদের দাবি তাদের মেয়েকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা সহ্য হয়নি ইয়াকুব এর পরিবারের লোকজনদের।দুই পক্ষের মধ্যে হয় সামান্য ঝামেলা।পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসে।পরে কয়েক ঘণ্টার পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মর্গে নিয়ে আসে।বর্তমানে নেনার মৃতদেহ বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মর্গে রয়েছে।আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।পুরো এলাকার লোকজন ভীড় জমিয়ে যায় নেনার মৃতদেহ দেখার জন্য। নেনার পরিবার থেকে কয়েক ডজন লোক ছুটে আসে বক্সনাগরে।এই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনের নামে কলমচৌড়া থানায় মামলা করা হয়।যাদের নামে মামলা করা হয় তারা হলেন স্বামী ইয়াকুব আলী,পিতা সিরাজ মিয়া,শাশুড়ি রাহেলা বেগম,বাসুর নবীর হোসেন, একমাত্র ননদ আসমা তারা।ফাঁসিতে আত্মঘাতী নেনার পরিবারের অভিযোগ তাঁদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।অপরদিকে মৃত নেনার শাশুড়ির অভিযোগ নেনা বিয়ের পর থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ।তার এই অসুস্থতার কারণে কয়েকবার তাকে চিকিৎসা করা হয়।মাঝেমধ্যেই নেনা ঘরে থাকতেন না।তাকে খুঁজে জঙ্গল থেকে বের করে আনতে হয়েছে কয়েকবার।আর অসুস্থতার কারণেই হয়তো আজ বাড়ির লোকজনদের অনুপস্থিতিতে ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।জানা যায় নেনানের স্বামী সকালবেলায় ঘর থেকে বিশাল ঘরের কোন একটি জায়গায় গাঁজা বাগানে কাজ করতে যায়।আর তার শাশুড়ি গরু নিয়ে জঙ্গলে যায়।হয়তো এই সুযোগটা পেয়ে বধু ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নেন।তবে নেনার শাশুড়ির কথা অনুযায়ী জানা যায় তাদের পুত্রবধূ ও ছেলের মধ্যে কোন ঝামেলা ছিল না।তাহলে কি কারনে নেনা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় এ নিয়েও প্রশ্ন জাগছে।নেনার পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় নেনাকে বুধবার সকালে হাঁসের বাচ্চা নিয়ে ঝগড়া লেগে তার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে প্রচন্ড মারধর করে।এই ঘটনাটিও নেনা ফোন করে তাদের পরিবারদের জানায়। এদিকে জানা যায় নেনা ও ইয়াকুবের মুসলিম রীতি অনুসারে গত তিন বছর আগে বিবাহ হয়। তাদের কোন সন্তানাদি নেই। ইয়াকুব এর বাবা কর্মক্ষেত্রে বিদেশে থাকতেন।জানা যায় ইয়াকুবের বাবা পুনরায় বিদেশে যাওয়ার জন্য নেনাকে প্রচন্ড অত্যাচার করে এক লক্ষ টাকা দাবি করে পণ হিসাবে নিয়ে আসেন।তাদের এই সব ঝামেলা নিয়ে কয়েকবার সামাজিকভাবে সালিসি সভাও হয়।কিন্তু তাতেও অত্যাচারের মাত্রা কমেনি ইয়াকুবের পরিবারের পক্ষ থেকে। অভিজ্ঞ মহল থেকে ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।আর হয়তো অত্যাচারের মাত্রাতিরিক্ত কারণে নেনা নিজে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নেন।এখন দেখার বিষয় পুলিশ তদন্তে কি বেরিয়ে আসে।নেনার স্বামী ইয়াকুব আলী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।এই আত্মঘাতীর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।


RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

12 + two =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য