বৃহস্পতিবার বিকেলে খোয়াই পুর পরিষদের 43 তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা হল খোয়াই নতুন টাউন হলে। এই প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, জেলা পুলিশ সুপার ভানু পদ চক্রবর্তী, পুর চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, পুর পরিষদের কার্যকরী আধিকারিক উত্তম কুমার ভৌমিক, রাজ্য ক্রীড়া সচিব অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্যরা। খোয়াই পৌর পরিষদের 43 তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুর চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা বলেন1979 সালের 10 ই জুলাই তৎকালীন বিধায়ক কামিনী সিং কে চেয়ারম্যান বানিয়ে প্রথম নগর পঞ্চায়েত এর সূচনা হয়। এরপর থেকেই খোয়াই শহরের উন্নয়নের জন্য তৎকালীন তৈরি হওয়া নগর পঞ্চায়েত কাজ করতে শুরু করে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আজ 43 বছরে পা দিল বর্তমান খোয়াই পুরো পরিষদ। নগর পঞ্চায়েত থেকে পুরো পরিষদে পরিণত হতে দীর্ঘ সময় লাগে কিন্তু বিগত দিনে যারা পুরো পরিষদ পরিচালনা করেছিলেন তাদের পরিকল্পনা সঠিক ছিল না বলে মন্তব্য করেন পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথশর্মা। আর এই কারণেই তারা এমন একটি মহতি অনুষ্ঠানের নেমন্তন্ন করার পরও কোন ধরনের সাড়া দেয়নি এমনকি অনুষ্ঠানেও আসেননি। এর থেকেই বুঝা যাচ্ছে তৎকালীন সময়ের নগর পঞ্চায়েতের ফাউন্ডার মেম্বার রা ভালো মন মানসিকতা নিয়ে যে কাজ করিনি খোয়াই বাসির সাথে এর থেকেই বুঝা যায়। উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর বলেন প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশএই মহা মন্ত্রকে সামনে রেখে দেশের জনগণের স্বার্থে কাজকরে চলছে। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে সরকারি প্রতিটি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা গিয়ে পৌছুক। বিগত দিনে দেখা গেছে সুবিধাভোগীর কাছে দিল্লি থেকে একশত টাকা পাঠালে রাস্তায় বিভিন্ন দালালদের কারণে হাওয়া হয়ে যেত 85 টাকা। এবং সুবিধাভোগীর হাতে গিয়ে পৌছাতো মাত্র 15 টাকা। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির কারণেই এখন দিল্লি থেকে সুবিধাভোগীর একাউন্টে সরাসরি সমস্ত টাকা গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। এই দিন খোয়াই পুর পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর হাত ধরেই রিক্সা চালকদের চাবি প্রদান, তিনটি এস এইচ জি গ্রুপকে এক লক্ষ টাকা করে সাহায্য, শহরের স্বচ্ছ ভারত কর্মীদের সম্মাননা প্রদান সহ টুয়েপ এর শংসাপত্র প্রদান করা হয়। এরপরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী খোয়াই জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে জেলার সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি বিদ্যা নিয়ে আলোচনা করেন যে কিভাবে আগামী দিন প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা এবং তাদেরকে জেলাভিত্তিক ও রাজ্য ভিত্তিক বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করার পাশাপাশি যুবসমাজকে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে উৎসাহিত করা যায় যাতে তারা ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেরা স্বনির্ভর হতে পারে এসব বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এরপর স্থানীয় একটি বেসরকারি হোটেলের কনফারেন্স হলে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি সংগঠনিক আলোচনা করেন।