অবৈধভাবে ব্যাটারি চালিত মেশিন জালের দ্বারা মৎস্য শিকারের কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে খোয়াই নদীর সু-স্বাদু মাছ। ফলে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা জেলেদের জীবিকা নির্বাহ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। দিবানিদ্রায় আচ্ছন্ন তেলিয়ামুড়া মৎস্য দপ্তর।ঘটনা, তেলিয়ামুড়া মহকুমার অধীন চাকমাঘাটের খোয়াই নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। খোয়াই নদীর ভাঙ্গন রোধের জন্য তেলিয়ামুড়ার চাকমাঘাটে নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে দীর্ঘ বছর পূর্বে। খোয়াই নদীর উপর চাকমাঘাটের এই বাঁধ নির্মাণের কারণে মৎস্য চাষ সহ প্রাকৃতিকভাবে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বেশ উপযোগী বাঁধের দুপাশে খোয়াই নদীর বিশাল এলাকা। আর নদীর মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার প্রতিপালন করছে চাকমাঘাট এলাকার শত শত পরিবার। কিন্তু ইদানিংকালে মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা তাদের পক্ষে দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ একটাই, অধিক মাছ পাওয়ার আশায় একাংশের লুকিয়ে লুকিয়ে ব্যাটারি চালিত মেশিন জালের দ্বারা মৎস্য শিকারের কারণে। আর এই ব্যাটারি চালিত মেশিন জালের দ্বারা মৎস্য শিকারের কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে খোয়াই নদীর সু-স্বাদু মাছ। এমনটাই আক্ষেপের সুরে অভিযোগ করে জানায় স্থানীয় জেলেরা। এ বিষয়ে চাকমাঘাট এলাকার স্থানীয় এক জেলে অভিযোগ করে জানান,,,, উনার পিতাও খোয়াই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত, পরবর্তীতে উনিও এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হন এবং এই মাছ ধরেই উনি উনার পরিবার প্রতিপালন করছেন। কিন্তু অতীতের তুলনায় বর্তমানে খোয়াই নদীর মাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে এই ব্যাটারি চালিত মেশিন জালের দ্বারা মৎস্য শিকারের ফলে। তিনি এও জানান বর্তমানে মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা তাদের পক্ষে দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কারণ, এই ব্যাটারি চালিত মেশিন জালের দ্বারা মৎস্য শিকারের ফলে নদীতে থাকা ছোট আকারের (পোনা) মাছগুলি ব্যাটারির ইলেকট্রিক শর্টের কারণে মরে যাওয়ায় দিন দিন কমে যাচ্ছে খোয়াই নদীর মাছ। যদিও, এই ব্যাটারি চালিত মেশিন জালের দ্বারা মৎস্য শিক্ষার সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপরেও একাংশ অধিক মাছ পাওয়ার আশায় লুকিয়ে লুকিয়ে এই অবৈধ ব্যাটারি চালিত মেশিন জালের দ্বারা মৎস্য শিকার করছে বলে অভিযোগ। কিন্তু এ বিষয়ে তেলিয়ামুড়া মৎস্য দপ্তরের কোন কর্ণপাত নেই।
এ প্রসঙ্গে তেলিয়ামুড়া মৎস্য দপ্তরের সুপারিটেনডেন্ট বিভাস বিশ্বাস জানিয়েছেন,,,, মৎস্য দপ্তরের নিকট লিখিত বা মৌখিক ভাবে কোন প্রকার অভিযোগ আসেনি, যদি এরকম কোন অভিযোগ আসে তাহলে অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মৎস্য দপ্তর। যদিও তিনি জানিয়েছেন মানুষজনের মধ্যে এখনো সচেতনতার অভাব রয়ে গেছে। সেই কারণে এলাকায় এলাকায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে মাছের পোনা বিতরণ করে তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে সচেতন করার চেষ্টা করছে মৎস্য দপ্তর।
খোয়াই নদীতে এই অবৈধ ব্যাটারি চালিত মেশিন জালের দ্বারা মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় খোয়াই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা চাকমাঘাট এলাকার স্থানীয় জেলেদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এখন এটাই দেখার বিষয় চাকমাঘাট এলাকার স্থানীয় জেলেদের এই অভিযোগের পর কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে তেলিয়ামুড়া মৎস্য দপ্তর।।



