নদী ভাঙ্গনের ফলে একাংশ গ্রামবাসীরা গৃহহীন হয়ে পরে। এই সমস্যা নিরসনের জন্য এলাকাবাসীরা সম্মিলিতভাবে সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে খোয়াই তেলিয়ামুড়া সড়ক পথ অবরোধে বসে। ঘটনা মোহরছড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায়। সবচেয়ে বড় মজার বিষয় হলো অবরোধে ছাত্র-ছাত্রীদের ও শামিল করানো হয় এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে। মূলত সড়ক অবরোধ গোটা রাজ্যে ট্রেডিশনে পরিণত হয়েছে বর্তমানে। পথ অবরোধ এরাজ্যে নতুন কোন বিষয় নয়। যদিও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর এই পথ অবরোধ মুক্ত হয়। খবরে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ মোহরছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন উত্তরপাড়া এলাকার প্রায় এক থেকে দেড়শ টি পরিবারের খোয়াই নদীর ভাঙ্গনের কারণে ভিটে মাটি ছাড়ার উপক্রম। পূর্বেও এ বিষয়গুলো নিয়ে বহু আলোচনা, পথ অবরোধ, শাসক দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যার ফলে এলাকাবাসীরা সোমবার খোয়াই তেলিয়ামুড়া সড়কে পথ অবরোধের নাটক মঞ্চস্থ করে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বহু যানচালক থেকে শুরু করে যাত্রী এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষজনেদের। পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এলাকার এক শাসক দলীয় জনপ্রতিনিধি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো শাসক দলীয় ওই জনপ্রতিনিধিকে ঘটনাস্থলে দেখেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে অবরোধ স্থলচত্বর। যেহেতু মোহরছড়া এলাকাটি কল্যাণপুর এবং তেলিয়ামুড়া বর্ডার লাইন সেহেতু ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে ছুটে আসে কল্যাণপুর এবং তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। তারা তাদের দাবিতে অনড় থাকে। তাদের একটাই দাবি নদী ভাঙ্গন রোধে বোল্ডার প্রদান করতে হবে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর যখন এলাকার জনপ্রতিনিধি ব্যার্থ হয়ে পড়েন তখন ঘটনাস্থলে ছুটে যান তেলিয়ামুড়ার ডি.সি.এম বাপ্পাদিত্য রায় ভৌমিক। তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করেন আগামী রবিবারের মধ্য থেকে নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করা হবে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের সঙ্গে অবরোধকারীদের ফোনে বার্তালাপ করান। এবং বিধায়িকাও আশ্বস্ত করেন অবরোধকারীদের। এই আশ্বাসের পর দীর্ঘ প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা অবরোধ চলার পর অবরোধ স্থল মুক্ত করে অবরোধকারীরা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যদি তাদের দাবি পূরণ না হয় তবে আগামী দিনের বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তারা।



