Thursday, December 4, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদছেলের ভালোবাসার চরম ক্ষেশারত দিতে হচ্ছে মা বাবাসহ গোটা পরিবারকে

ছেলের ভালোবাসার চরম ক্ষেশারত দিতে হচ্ছে মা বাবাসহ গোটা পরিবারকে

রিজানুল কান্ডের ছায়া দেখছে বিলোনীয়া সহ গোটা রাজ্য। একদিকে নিষ্পাপ ভালবাসা অন্যদিকে প্রশাসনের যাতা কল, ঘটনা জানা যায়
দুই – আড়াই মাস পূর্বে বিলোনীয়া থানার অন্তগত ভারত চন্দ্র নগর ব্লকের পাইখলা থেকে একই থানার অন্তগত ঈশান চন্দ্র নগর এলাকার বিনয় দেবনাথ এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরন করে নিয়ে যায়। ঘটনার বিস্তিত জানিয়ে ছাত্রীর পরিবার বিলোনীয়া থানায় বিনয় দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিস অপহরনের আড়াই মাস পরেও যখন মেয়ে উদ্ধার বা অপহরনকারীকে গ্রেপ্তার করতে ব্যার্থ তখন মেয়ের বাবা বিলোনীয়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেন তার মেয়েকে জীবিত অথবা মৃত কেহ উদ্ধার করে বাড়ীতে এনে দিতে পারলে তাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করবে। এতে নড়েচরে বসে পুলিস। পুলিস অপহরনের কোন কিনারা করতে না পারলেও বিনয় দেবনাথের বাবা বিকাশ দেবনাথকে থানায় এনে মামলায় অভিযুক্তকরে আদালতে সোপার্দ করলে আদালত ছেলের বাবা বিকাশ দেবনাথকে ৩০ শে জুলাই পর্যন্ত জেল হাজাতের নির্দেশ দেন। বর্তমানে বিকাশ দেবনাথ জেলেই আছে। এই ঘটনার কিনার করতে মেয়ের পরিবার রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে আবেদন করে। অপহরনের সময় মেয়ে নাবালিকা থাকলেও বর্তমানে মেয়ের বয়স ১৯ বৎসর চলছে বলে জানাগেছে, বিনয় দেবনাথের বয়স ২১ বৎসর । অভিযোগ মেয়ের পরিবার একদিকে পুলিস অন্যদিকে রাজনৈতিক পেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত বিনয়ের অসুস্থ বিছানায় সয্যাশায়ী মাকে মানষিক যন্ত্রনা দিচ্ছে। এদিকে বিনয় দেবনাথ ও পায়েল নিজেরা ভালোবেসে বিয়ে করে নিয়েছে বলে তারাও সামাজিক মাধ্যমে সকলকে অবগত করেছে। পায়েল ও বিনয় হতে একটি বিষের বোতল নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে জানায় তারা একজন অন্যজনকে ভালোবেসে বিয়ে করে বেশ ভালোই আছে। কিন্তু বর্তমানে তাদের ভালোবাসা বাদ সেজেছে পায়েলের পরিবার, বর্তমানে তাদের খুব কষ্টে দিন কাটছে। বাধ্য হয়ে তাদের বন জঙ্গলে দিন কাটাতে হচ্ছে। পায়েল সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন বিনা অপরাধে বিনয়ের পরিবারে উপর যে আক্রমন নামিয়ে আনা হয়েছে তাযেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। এছাড়া মহিলা মোর্চা ও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে যা করা হচ্ছে তা কোন ভাবে মানা যায়না। পায়েল সামাজিক মাধ্যমে জানায় তার অপহরন সম্পুর্ন তার ইচ্ছাতেই হয়েছে। এবং তারা বিয়ে করে নিয়েছে। তাদের বিয়ে নিয়ে থানা আদালতে যে মামলা করা হয়েছে তা যেন আগামী ৬ দিনের মধ্যে তুলে নেওয়া হয় এবং বিনয়ের পরিবারের উপর নানা আক্রমন বন্ধ করা হয়। অন্যথায় তারা দুজন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে। তারজন্য দায়ি থাকবে পায়েলের বাবা কৃষ্ণ দেবনাথ সহ পু্লিস প্রশাষন। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই পায়েলের পরিবার পুলিস প্রাশাষনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বিনয়ের অসুস্থ মা সংবাদ মাধ্যমের কাছে ছেলে – মেয়ের দুইজনের প্রাণ ভিক্ষা চাইছেন। তিনি তাদের জীবন শংশয়ের আশঙ্কায় একাঘরে পাগল প্রায় হয়ে দিন কাটচ্ছেন। তিনি জানান আমার ছেলে ভালোবেসে বিয়ে করেছে আমি তার পছন্দকে ঘরে তুলতে চাই। আমি আমার ছেলে – মেয়ের প্রাণ ভিক্ষা চাইছি। তাদের কিছু হলে আমরাও আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো। গোটা ঘটনা বিলোনীয়া সহ রাজ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে পায়েল – বিনয়ের ভালোবাসার মধ্যে পশ্চিম বাংলার রিজানুল কান্ডের কালো ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। এখন দেখার বিষয় দুজনের নিষ্পাপ ভালবাসায় পুলিস প্রশাষন কি ভূমিকা গ্রহন করে।


RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

eight + six =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য