বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন করতে এসে একাংশ ছাত্রীরা ঊশৃংখলতায় মেতে উঠলো। আর সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব জ্ঞানতা নিয়ে। ঘটনা তেলিয়ামুড়ার অন্যতম প্রাচীন বিদ্যালয় ইচারবিল দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,, বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণী কয়েকজন ছাত্রী কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই জনপ্রিয় খেলা WWE এর অনুকরণে মারামারির দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গত কয়েক দিন পূর্বেই ছাত্রীদের মধ্যে এই মারধরের ঘটনা সংঘটিত হয়। পরে এই ঘটনাটি বিদ্যালয়েরই কোন এক পড়ুয়া তার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে। এবং পরবর্তীতে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। তারপরই ছাত্রীদের মধ্যে মারামারির দৃশ্যটি ভিডিও আকারে সকলের নজরে আসে। এই সম্পর্কে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মধুসূদন দেববার্মাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ভিডিওটির সত্যতা স্বীকার করেন এবং মারধর করা ছাত্রীদেরও সতর্ক করে দেন। পাশাপাশি তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে এনেও বিষয়টি নিয়ে অবগত করে দিয়েছেন বলে জানান, প্রধান শিক্ষক মধুসূদন দেববর্মা। কিন্তু ইদানিং কালে একাংশ ছাত্রছাত্রীদের কার্যকলাপে বদনাম হচ্ছে বিদ্যালয়গুলির নাম।সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আরো উঠছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা নিয়ে। কারণ বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন আনা নিষিদ্ধ থাকলেও বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষের অভ্যন্তরে ছাত্রীদের মধ্যে মারামারি দৃশ্যটি সামাজিক মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ভিডিও বন্দি করে কিভাবে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করা হলো?