পাহাড়ে ফের বারুদের গন্ধ। আসন্ন স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ এন এল এফ টি জঙ্গি গোষ্ঠীর চারজনের একটি দল আগ্নেয় অস্ত্র ak-47 এবং পিস্তল নিয়ে আনাগোনা পাহাড়ের জঙ্গল পথে। জঙ্গি দলটির টার্গেট ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ এবং সিকিউরিটি ফোর্স। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে কাটা তারের বেড়া অতিক্রম করে মনিপুর হয়ে ত্রিপুরাতে প্রবেশ করে নিষিদ্ধ এনএলএফটি জঙ্গি গোষ্ঠীর চারজনের একটি জঙ্গি দল আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে। দেশের স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ এন এল এফ টি জঙ্গি দলের চারজনের একটি দল জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছে। চলতি মাসের ২১ তারিখ ধলাই জেলার এম কে পাড়া এবং উদয় সিং পাড়াতে দেখা গিয়েছিল অগ্নি অস্ত্র নিয়ে দলটিকে ঘোড়াপাড়া করতে। গঙ্গানগর থানাধীন শান্তি রাম পাড়াতে চলতি মাসের ২২ তারিখ ফের একবার আগ্নেয়শ্র নিয়ে ঘুরাফারা করতে দেখা গিয়েছে নিষিদ্ধ এনএলএফটি জঙ্গি গোষ্ঠীর চারজন জঙ্গিকে। সূত্র তরফে আরো জানা যায়, চারজনের এই জঙ্গি দলটি বিক্রম বাহাদুর জমাতিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে টার্গেট কে লক্ষ্য রেখ করে এগুচ্ছে পাহাড় পথে। চারজন জঙ্গিদের মধ্যে দুজনের হাতে রয়েছে আগ্নেয় অস্ত্র একে-৪৭ এবং অন্য দুজনের হাতে রয়েছে পিস্তল। আরো জানা যায়, চারজনের মধ্যে দুজন নিষিদ্ধ এন এল এফ টির সক্রিয় সদস্য।আর বাকি দুজন এলাকাবাসী পিস্তল নিয়ে দুজনকে সাহায্য করছে। আরো জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই জঙ্গি দলটি গঙ্গানগর থানাধীন বাতা বাড়িতে অবস্থান করছে। গোয়েন্দা সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, জঙ্গি দলটি কাকড়া ছাড়া,নোনা ছড়া এবং তৈদু এলাকায় দিকে আসার জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। দলটির টার্গেট স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে ত্রিপুরা পুলিশ এবং সিকিউরিটি ফোর্সের উপর আক্রমণ করা।এদিকে ত্রিপুরা পুলিশ এবং টিএসআর জোয়ানেরা অপশে বেরিয়ে পড়েছে।জোর যার তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাহাড় জঙ্গলে এবং জনবসতি এলাকাগুলিতে। পুলিশ এবং টি এস আর বাহিরের জোয়ানরা বিভিন্ন গ্রুপ করে জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে দিনরাত। রবিবার ডি আই জি কেরি মারাক, খোয়াই জেলার এস পি এবং টিএসআর ৬ এবং ১২ নং ব্যাটেলিয়ানের কমান্ড্যান্ট পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে রুদ্র দ্বার বৈঠক শুরু হয় টিএসআর 12 নং ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে। এদিকে মুঙ্গিয়াকামি,গঙ্গানগর থানার অধীনে থাকা বিভিন্ন জন বসতি এবং জঙ্গলে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে টিএসআর জোওয়ান। দিনরাত ২৪ ঘন্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিরুনি তল্লাশি। কোন প্রকার খামটি রাখতে চাইছে না স্বরাষ্ট্র দপ্তর।



