জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার নিকট থেকে টেন্ডার প্রাপক কোলকাতার একটি কোম্পানি খোয়াইয়ের গনকি এলাকা থেকে কমলপুরের শ্রীরামপুর এলাকা অব্দি ২৫.৬ কিমি রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করছেন বলে বহু স্থানের সাধারণ জনগণ ব্যাপক অভিযোগ তুলছেন এবং প্রতিবাদও করছেন। জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার নিয়ম নীতিকে বিসর্জন দিয়ে কোলকাতার কোম্পানিটি অন্তত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন স্থানীয় জনগণের ব্যাপক আপত্তি সত্ত্বেও। অভিযোগ উঠছে কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার তপন কুমার সান্যাল সরাসরিভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে রয়েছেন। খোয়াইয়ের গনকী এলাকা থেকে কমলপুরের শ্রীরামপুর পর্যন্ত ২০৮ নং জাতীয় সড়কের কাজ শুরু হয়েছিল বহুদিন আগে থেকেই। রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণের পর ওই কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজারের নির্দেশে তাদের নিজস্ব বাস্তু কারেরা রাস্তার পাশে বাউন্ডারি দেবার জন্য যে পাথর ব্যবহার করেছিল সেগুলো সঠিক পাথর ছিলনা। খোয়াই চেরমা এলাকায় রাস্তার পাশে যে বাউন্ডারি দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে একটি পাথরের উপর অপর একটি পাথর সিমেন্টের সহযোগে বসানোর পরিবর্তে শক্ত মাটির বড় টুকরো নিচে বসিয়ে দিয়ে তার ওপর সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন স্থানীয় মানুষজন। ওই সময়েও স্থানীয় মানুষজন এর প্রতিবাদ করেছিলেন কিন্তু জনগণের প্রতিবাদ সত্ত্বেও গায়ের জোরে কোম্পানিটি মাটির টুকরো দিয়েই রাস্তার বাউন্ডারির কাজ শেষ করে। এছাড়াও রাস্তার উভয় পাশে বক্স সমৃদ্ধ ড্রেন তৈরি করতে গিয়েও অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। চেরমা এলাকায় বহু স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন কোলকাতার এই কোম্পানিটি যেভাবে নিম্নমানের রাস্তা তৈরি কাজ করছে সেই কাজে প্রতিবাদ করেও লাভ হচ্ছে না। যেহেতু জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থা এই কোম্পানিটিকে রাস্তা তৈরির বরাদ্দ দিয়েছে সেহেতু স্থানীয় পূর্ত দপ্তর , মহকুমা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন এই সমস্ত দুর্নীতি নিয়ে অবগত থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে না আসার কারণে তারা তাদের মর্জিমাফিকই কাজ করেচলেছেন।
ইতিমধ্যে সিঙ্গিছড়া থেকে বাচাই বাড়ি অব্দি জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার ভারী ভারী গাড়ি গুলির চাপে পুরনো পূর্ত দপ্তরের রাস্তা গুলির অবস্থা একেবারে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। নিয়ম অনুসারে ওই কোলকাতার কোম্পানিটি ভগ্ন পূর্ত রাস্তা সারাই এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা থাকলেও এক্ষেত্রেও দুর্নীতি চলছে সর্বত্র। কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার তপন কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ভগ্ন পূর্ত সড়ক প্রথম শ্রেণীর ইট দিয়ে সারাই করে দিচ্ছেন। বাস্তবে সান্যাল বাবু ইট এর পরিবর্তে গাড়ি ভর্তি করে মাটি ফেলছেন খোয়াই লালছড়া এলাকা থেকে শুরু করে চেরমা অব্দি ভগ্ন পূর্ত রাস্তা গুলিতে। আর এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতে এই তিন চার কিলোমিটার রাস্তা এতটাই ভয়ানক হচ্ছে যে চার চাকার গাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ধরে যেতে পারছে না। চেরমা অঞ্চলের স্থানীয় মানুষজন এই জাতীয় সড়ক নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে খুব শীঘ্রই আন্দোলনে নামছেন বলে জানান সংবাদমাধ্যমকে।



