তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে মহামারী করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে জারি করা সরকারি বিধি-নিষেধের আদ্য শ্রাদ্ধ

মহকুমা হাসপাতালে করোনার সরকারি বিধি-নিষেধকে আদ্যা শ্রাদ্ধ করে দেদার ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। মহকুমা হাসপাতালে মাস্ক বিহীন স্বাস্থ্য কর্মীদের ছয়লাভ। এমনটাই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা গেল শনিবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে। এতে করে করোনার গুষ্টি সংক্রমনের আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। এদিন তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল, হাসপাতালে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সিকিউরিটি গার্ড সহ একাংশ অসচেতন মহল করুনার সরকারি বিধি-নিষদের আদ্যা শ্রাদ্ধ করে বিনা মাস্ক ঘোরাফেরা করছে। হাসপাতালে কর্তব্যরত একাংশ চিকিৎসক সহ ছোট বাচ্চাদের টিকা করনের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য কর্মীরা সরকারি নিয়ম নির্দেশিকাকে শুকনো কলাপাতা বানিয়ে বিনা মাস্কে দেদার ভাবে প্রদান করছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। এ বিষয়ে যখন হাসপাতালে কর্তব্যরত এক অসচেতন স্বাস্থ্যকর্মীর নিকট জানতে চাওয়া হয়, তিনি সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতালের তরফে নাকি উনাকে মাস্ক পরিধানের কথা বলা হয়নি, তাই উনি মাস্ক লাগাবে না। এখন সমাজের সচেতন মহল জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে যে, তবে কি তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফে করোনার সরকারি বিধিনিষেধ গুলিকে মান্যতা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্মীদের বলা হয়নি। অন্যদিকে হাসপাতালে সাংবাদিকদের আসার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মা ছুটে আসে এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে ওই সকল অসচেতন স্বাস্থ্য কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সচেতন করতে উদ্যত হয়। মহাকুমা স্বাস্থ্য অধিকারিক চন্দন দেববর্মা সাফ জানিয়ে দেয় যদি হাসপাতালে কর্মরত কোন কর্মীরা মাস্ক পরিধান না করে তাহলে প্রশাসনের তরফে তাদের জরিমানা করা হোক। এদিন হাসপাতালের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান কেন্দ্র অর্থাৎ শিশু টিকা কেন্দ্রও দেখা গেল বিনা মার্কসের স্বাস্থ্য কর্মীরা ছোট ছোট শিশুদের টিকা প্রদান করছে। এতে করে সমাজের সচেতন মহল জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং করুনার গুষ্টির সংক্রমণের আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে। এখন এটাই দেখার বিষয় হাসপাতালে কর্তব্যরত একাংশ অসচেতন কর্মীদের সচেতন করতে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।।