এক গৃহবধূকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় সরব হলেন রাজ্যে মহিলা কমিশন। সংবাদ বিবরণে জানা গেছে গত আট বছর আগে বিশালগড় থানাধীন নবীনগর এলাকার রেশমি আক্তার এর সামাজিক রীতি নীতি অনুসারে বিবাহ হয়েছিল বিশালগড় মধ্য লক্ষীবিল এলাকার ছামিউন বাছিরের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রেশমি আক্তার এর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী ছামিউন বাছির সহ তার শশুর এবং দেবর নাসির আলম। তারপর তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম গ্রহণ করার পরেও নির্যাতনের মাত্রা কমায় নি তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা। রেশমি আক্তার এর স্বামীসহ তার শশুর এবং দেবর প্রায় সময় রেশমি আক্তার কে মেরে রক্তাক্ত করত এবং কোন করার চেষ্টা করত এবং রেশমি আক্তার কে পুনরায় যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করত। জানা গেছে রেশমি আক্তার এর স্বামী ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে কর্মরত। রেশমি আক্তার এর উপর এই ধরনের অমানবিক নির্যাতনের ঘটনাটি মীমাংসার জন্য বেশ কয়েকবার এলাকার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা সভা করেছিল কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকার দরুন অবশেষে নির্যাতিতা রেশমি আক্তার তার বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং তার স্বামী ছামিউন বাছির সহ তার শশুর এবং দেবরের বিরুদ্ধে বিশালগড় মহিলা থানায় মামলা দায়ের করেছিল। বিশালগড় মহিলা থানা ভারতীয় দণ্ডবিধি 498(A),376,511,354(B),
307,506 ধারায় মামলা হাতে নিয়ে অভিযুক্ত আসামি ছামিউন বাছির এবং দেবর নাসির আলম কে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। রেশমি আক্তার এর ওপর এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী সহ কমিশনের অন্য এক সদস্যা আজ নির্যাতিতা গৃহবধূর বাপের বাড়িতে ছুটে এসে নির্যাতিতা গৃহবধূর মুখ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনতে পারে এবং মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন রেশমি আক্তার এর উপরের যেই ধরনের নির্যাতন হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি ঘটনা। তিনি আরো জানিয়েছেন রেশমি আক্তার যেন সুষ্ঠু বিচার পেতে পারেন তার জন্য রাজ্য মহিলা কমিশন সব সময় ওই নির্যাতিতা গৃহবধূর পাশে থাকবে।



